গভীর রাতে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে নিয়মিত যেতে মহকুমা শাসক। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। ঘটনাটি রাজস্থানের পালি জেলার। সিভিল সার্ভিস (আচরণ) আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মারওয়াড়ের মহকুমা শাসক অজয় অমরাওয়াত। তাঁকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ওই মহিলা শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রশাসন।
জেলার মারওয়াড়ের গুড়া মোকামসিংহে থাকেন ওই শিক্ষিকা। তাঁর বাড়িতে রাতে যেতেন মহকুমা শাসক অজয় অমরাওয়াত। কয়েকদিন আগে রাতে গাড়ি থেকে নেমে ওই মহিলার ঘরে ঢোকেন তিনি। বাইরে থাকা গ্রামবাসীরা দরজা বন্ধ করে দেন। তাঁর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে ওই শিক্ষিকা গ্রামবাসীদের দরজা খুলতে বলেন। থানায় যাওয়ার হুমকিও দেন। বাড়িতে কেউ নেই বলে স্কুলে চলে যান শিক্ষিকা।
তবে নজরদারি চালাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। মহকুমা শাসক প্রায় ১৬ ঘন্টা মহিলা শিক্ষকের বাড়িতে তালাবদ্ধ ছিলেন। বিকেলে জোজাওয়ার থানার পুলিশ সাদা পোশাকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহকুমা শাসককে উদ্ধার করেন। রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে বের হন অজয় অমরাওয়াত।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করে শিক্ষা বিভাগ। মারওয়াড়ের প্রাক্তন বিধায়ক কেসারাম চৌধুরী জেলা প্রশাসনের কাছে ওই মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। তিনি জানান, অবিলম্বে এসডিএমকে অপসারণ করতে হবে। এরপর অজয় অমরাওয়াতকে রাজস্থান সিভিল সার্ভিস (আচরণ) বিধিতে দোষী সাব্যস্ত করে সাসপেন্ড করা হয়।
আরও পড়ুন- দুয়ারে এসবিআই, এক ডাকেই ঘরে আসবেন ব্যাঙ্ক কর্মী, কীভাবে?