ভদ্রলোকের জন্মদিন পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে কাটা হয়েছিল সবে। সবাই আনন্দের মুহূর্তে এনজয় করছিলেন পার্টি। আচমকা মারা গেলেন যাঁর জন্মদিন, সেই ব্যক্তি।
বিয়ার পার্টির মাঝখানেই বিপত্তি
বিয়ার খেতে গিয়ে এমন মৃত্যুর ঘটনায় হতভম্ব গোটা পরিবার। এমন খুশির মুহূর্ত বদলে যাবে চরম দুঃখে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং ১৫ বছরের ছেলে উপস্থিত ছিলেন। মৃত ব্যক্তি গিলসন-এর ভাইঝি জানিয়েছেন, আচমকা এমন দুর্ঘটনায় পরিবারের লোক জন থতমত খেয়ে গিয়েছেন। মৃত গিলসন ৬ বছর থেকে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তারপর সম্প্রতি তিনি সুস্থ হয়েছেন। তাঁর জন্মদিন নিয়ে পরিবারের লোকজন অত্যন্ত খুশি ছিলেন। এভাবে মারা যাওয়া তারা মেনে নিতে পারছেন না। ভেঙে পড়েছেন সবাই।
বিয়ার কেগ মেশিন খারাপ হয়ে যায়
করোনা আবহে বেশি লোক ডাকা হয়নি। স্ত্রী-ছেলে এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ডাকা হয়েছিল পার্টি করার জন্য। আনা হয়েছিল বিয়ার কেগ। বিয়ার কেগ হল যেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে বিয়ার বের হয় এমন মেশিন। পার্টি যখন জমে উঠেছিল, সেই সময় ওই বিয়ার মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। নিজেই পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই ঘটে ওই দুর্ঘটনা।
মেশিনের যান্ত্রিক সমস্যাই কাল হয়
গিলসন এবং ওই মেশিনটি পরীক্ষা করে চড় থাপ্পড় মেরে তার মধ্যে থেকে বিয়ার বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিয়ার না বের হয়ে এমন ঘটনা ঘটল যা অত্যন্ত মর্মান্তিক। যা হলো তা দেখে সবাই হয়রান হয়ে যায়। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী গিলসন এর ভাইঝি স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, বিয়ার কেগ ঠিক করার সময় মেশিন থেকে একটা ধাতুর টুকরো ভেঙে বেরিয়েছে সজোরে গিলসনের মাথায় লাগে এবং এত জোরে লাগে যে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়ে যায়।
সেলিব্রেশন বন্ধ, শোক শুরু
যখন এই দুর্ঘটনা ঘটে তখন গিলসনের ১৫ বছরের ছেলে, স্ত্রী এবং বোন উপস্থিত ছিলেন। মৃত ব্যক্তি ৬ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সেখান থেকে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। এবার জন্মদিন তাই ধুমধাম করে তারা সেলিব্রেট করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। এরই মধ্যে আচমকা দুর্ঘটনা তার জীবনে এসে জীবন ছিনিয়ে নিয়ে গেল।