Music has no barriers, সঙ্গীত কোনও বাঁধা মানে না। কথাটা যে নিছক কথা নয়, তা বারবার প্রমাণ করে দেন আফ্রিকান সঙ্গীতশিল্পী জৌটেন। তাইতো কখনও তাঁর গলায় শোনা যায় বাংলা সিনেমার পরিচিত গান আবার সাবলীল ভঙ্গীতে তিনি গেয়ে ওঠেন রবি ঠাকুরের গান। গেয়ে ওঠেন মাটির গান দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা। অনেক বাঙালির থেকেও ভালো উচ্চারণে গাইছেন বাংলা গান। গান যে কোনও ভাষা, দেশের গণ্ডি মানে না। সে নিজের মতো বয়ে চলে, সেকথা মনে পড়িয়ে দিলেন গায়ক খোদ। এবার সেই জৌটেনের কন্ঠে শোনা গেল অঞ্জন দত্তের বিখ্যাত গান বেলা বোস।
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছ… এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না। নয়ের দশকের অঞ্জন দত্তের সেই গান আজও শ্রোতাদের হৃদয়জুড়ে। কত প্রেম-বিরহ-আনন্দের মুহূর্তের সাক্ষী বেলা বোস। এটা কি 244-1139। এই নম্বরের আদৌও অস্তিত্ব আছে কিনা, অথবা অঞ্জন দত্তের জীবনে কি কোনও বেলা বোস সত্যিই আছে? সব মিলিয়ে দর্শকও বারবারই প্রশ্ন তোলেন। সময় পেরিয়ে বেলা বোস শুনলে আজও নস্টালজিক হয়ে পড়েন বহু মানুষ। আর সেই বেলা বোস গানটি অবলীলায় গেয়ে ফেললেন আফ্রিকান সঙ্গীতশিল্পী জৌটান। এই গানের ভিডিও শেয়ার করে জৌটান অকপটে জানিয়েছেন যে এই গানটা রেকর্ড করা একটি চ্যালেঞ্জের ছিল কিন্তু তিনি চ্যালেঞ্জ পছন্দ করেন।
মাথায় টুপি, হাতে গিটার নিয়ে বেলা বোস গাইলেন জৌটান। এই গান সোশ্যাল মিডিয়ায় শোনার পর অনেকেই বাংলা থেকে জৌটানের তারিফ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় জৌটানের পেজের নাম আটিক ব্লুজ। বহু বাংলা গানই জৌটান গেয়েছেন এবং তা খুব সুন্দরভাবেই। চঞ্চল চৌধুরীর জনপ্রিয় গান সাদা সাদা কালো কালো গান শোনার পর অভিনেতা রীতিমতো তাঁর ফ্যান হয়ে গিয়েছেন। বেলা বোস শোনার পরও বহু বাঙালি ভক্ত জৌটানের প্রশংসা করেছেন।
সত্যিই তো গানই তো হল ইমোশন বহিঃপ্রকাশের অন্যতম ভাষা। গান কোনও ভাষা, দেশের গণ্ডি মানে না। সে নিজের মতো বয়ে চলে। আর সে কথাই বারবার মনে করিয়ে দেন জৌটান। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ঢুঁ মারলে বাংলা ভাষার পাশাপাশি হিন্দি ও বলিউড সিনেমার গানও রয়েছে। জৌটান গেয়েছেন সৃজিতের এক্স=প্রেম ছবির গান ভালোবাসার মরশুম। তবে বেলা বোস গানটির সঙ্গে যথাযথ ন্যায় করতে পারলেন কিনা সেটা অবশ্যই অঞ্জন দত্তই বলতে পারবেন। তবে জৌটেনের কন্ঠে বেলা বোস যে সকলেই পছন্দ করেছেন তা ভিউ দেখেই বোঝা গিয়েছে।