Strawberry Moon: ২১ জুন দেখা যাবে স্ট্রবেরি চাঁদ, 'হানিমুন'-এর সঙ্গে রয়েছে সম্পর্ক, কীরকম?

আগামী ২০ থেকে ২২ জুন চাঁদের রূপকে বলা হচ্ছে 'স্ট্রবেরি মুন'। এর সেরা মুহূর্তটা দেখা যাবে ২১ জুন। গ্রীষ্মের অয়নায়নের একদিন পরেই এটা আবির্ভূত হবে। এই চাঁদের আরও অনেক নাম আছে। তবে এটিকে সাধারণত স্ট্রবেরি মুন বলা হয়। মজার বিষয় হল, এই চাঁদের সঙ্গে 'হানিমুন'-এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তার আগে এই চাঁদের অন্যান্য নাম জেনে নেওয়া যাক। তারপর হানিমুনের সঙ্গে এর সম্পর্কও প্রকাশ করা হবে। স্ট্রবেরি মুনকে 'হট মুন', 'হানি মুন' এবং 'রোজ মুন'ও বলা হয়।

Advertisement
২১ জুন দেখা যাবে স্ট্রবেরি চাঁদ, 'হানিমুন'-এর সঙ্গে রয়েছে সম্পর্ক, কীরকম?Strawberry Moon
হাইলাইটস
  • আগামী ২০ থেকে ২২ জুন চাঁদের রূপকে বলা হচ্ছে 'স্ট্রবেরি মুন'। 
  • এর সেরা মুহূর্তটা দেখা যাবে ২১ জুন।
  • গ্রীষ্মের অয়নায়নের একদিন পরেই এটা আবির্ভূত হবে। 

আগামী ২০ থেকে ২২ জুন চাঁদের রূপকে বলা হচ্ছে 'স্ট্রবেরি মুন'। এর সেরা মুহূর্তটা দেখা যাবে ২১ জুন। গ্রীষ্মের অয়নায়নের একদিন পরেই এটা আবির্ভূত হবে। 

এই চাঁদের আরও অনেক নাম আছে। তবে এটিকে সাধারণত স্ট্রবেরি মুন বলা হয়। মজার বিষয় হল, এই চাঁদের সঙ্গে 'হানিমুন'-এর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তার আগে এই চাঁদের অন্যান্য নাম জেনে নেওয়া যাক। তারপর হানিমুনের সঙ্গে এর সম্পর্কও প্রকাশ করা হবে। স্ট্রবেরি মুনকে 'হট মুন', 'হানি মুন' এবং 'রোজ মুন'ও বলা হয়।

উত্তর আমেরিকার অ্যালগনকুইন উপজাতিরা এর নাম দিয়েছে স্ট্রবেরি মুন। কারণ এটাই উত্তর আমেরিকায় স্ট্রবেরি ফল তোলার সময়। আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রির অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট জ্যাকি ফাহার্টি জানালেন, অনেকেই ভাবেন, স্ট্রবেরি মুন মানে হয় তো এই চাঁদের রঙ গোলাপী বা লাল হবে। কিন্তু আসলে এমনটা কিছুই নয়। এই সময় স্ট্রবেরি ফল তোলার মরসুম শুরু হয়। সেই কারণেই একে স্ট্রবেরি মুন বলা হয়।

চাঁদের বিভিন্ন রঙ কেন হয়?বায়ুমণ্ডলে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বেশি আছে তার উপরে চাঁদের রঙ নির্ভর করে। সূর্যের আলো এবং বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত গ্যাস এবং রাসায়নিকের কারণে ধূসর রঙের চাঁদের বিভিন্ন রঙ দেখা যায়।

সূর্যের আলো, পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যে সম্পর্ক:

  • সূর্য থেকে আসা আলো বিভিন্ন রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সমন্বয়ে গঠিত।
  • যখন এই আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন নীল আলো (ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য) বায়ুমণ্ডলের কণার সাথে বেশি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
  • অন্যদিকে, লাল আলো (বড় তরঙ্গদৈর্ঘ্য) সহজেই বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে পৃথিবীতে পৌঁছায়।

পূর্ণিমা এবং রঙের প্রভাব:

  • পূর্ণিমার সময়, চাঁদ সূর্যের বিপরীত দিকে থাকে।
  • ফলে, সূর্যের আলো পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চাঁদে পৌঁছায়।
  • এই সময়, আমরা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়া নীল আলো দেখতে পাই না, কারণ এটি পৃথিবীর পিছনে লুকিয়ে থাকে।
  • যেহেতু লাল আলো বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সহজেই প্রবেশ করে, তাই আমরা চাঁদকে লালচে, গোলাপি বা তামাটে রঙের দেখতে পাই।

অন্যান্য কারণ:

  • চাঁদ ক্ষেত্রজ (horizon)-এর কাছাকাছি থাকলেও এই প্রভাব আরও বেশি লক্ষণীয় হয়।
  • কারণ, এই অবস্থানে, চাঁদের আলো বায়ুমণ্ডলের আরও বেশি পথ পাড়ি দেয়, যার ফলে নীল আলো আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
  • ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প এবং অন্যান্য বায়ুমণ্ডলীয় কণাও এই রঙের প্রভাবকে আরও তীব্র করতে পারে।

চাঁদ আসলে গোলাপি রঙের নয়। বরং, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে সূর্যের আলোর মিথস্ক্রিয়া এই অস্বাভাবিক রঙের প্রভাব সৃষ্টি করে। পূর্ণিমা এবং চাঁদের ক্ষেত্রজের অবস্থান এই প্রভাবকে আরও তীব্র করে তোলে।

নাসার বিজ্ঞানী আন্দ্রেয়া জোনস বলেন, চাঁদের কক্ষপথ পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে পাঁচ ডিগ্রি আলাদা। তাই এটি সর্বদা পৃথিবীর ছায়ার সামান্য উপরে বা নীচে থাকে। এই কারণে, সূর্যের আলো চাঁদের নিকটতম অংশকে আলোকিত করে। অর্থাৎ যে অংশ পৃথিবীর দিকে থাকে।

এপ্রিল পূর্ণিমা বা গোলাপী চাঁদের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন- নতুন ঘাসের চাঁদ, ডিমের চাঁদ, মাছের চাঁদ ইত্যাদি। ইহুদিরা একে পেসাচ বা পাসওভার মুনও বলে। খ্রিস্টানরা একে পাসকাল চাঁদ বলেন। এই চাঁদের উদয় হওয়ার পরই ইস্টারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

Advertisement

 

মধুচন্দ্রিমার সঙ্গেও একটা সংযোগ আছে 

এই চাঁদের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমারও সম্পর্ক রয়েছে। 'হানিমুন' শব্দটি ১৫০০-র শতক থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। আসলে এই সময়ে, বিশ্বের অনেক দেশে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মানুষ সাধারণত হানিমুনে কোথাও যায়। এই চাঁদ থেকেই নামটি এসেছে।

POST A COMMENT
Advertisement