শাড়ি পড়ে ঘুরতে বের হলেন। হঠাৎ খিদে পেল, অথচ সামনে খাবার কিছু মিলছে না। শাড়ির আঁচল খুলে খেতে আরম্ভ করলেন। কেমন হবে ব্য়াপারটা ? গাঁজাখুরি গল্প মনে হতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুণ, এ গাঁজাখুরি নয়, বাস্তব। এমন ঘটনাই ঘটেছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে গোটা বিশ্বের।
পড়াও যায়, ইচ্ছে হলে খাওয়াও যায়
শাড়ির রকমারি আমাদের দেশ ভারতবর্ষেরই সম্ভার। অভিনব শাড়ি তৈরি করেছেন ভারতেরই কেরলের এক শিল্পী এমনই একটি শাড়ি বানিয়েছেন। যা পড়াও যায়, ইচ্ছো হলে খেয়েও ফেলা যাবে। কিন্তু এমন কিসের শাড়ি যা খাওয়া যায়, অথচ পড়লে ছেঁড়ে না।
কিসে তৈরি এই শাড়ি ?
এই শাড়ি তৈরি হয়েছে স্টার্চ দিয়ে। চকোলেট কিংবা আইসক্রিমে যে ওয়েফার ব্যবহার হয়। সেই ওয়েফার কাগজে এই শাড়ি তৈরি হয়েছে। এই কাগজ কেক বানাতে ব্যবহার করা হয়। এ রকম ১০০টি কাগজ জুড়ে সাড়ে পাঁচ মিটারের শাড়িটি বানানো হয়েছে।
শাড়ির নাম কাসাভু
এই শাড়ির নাম ‘কাসাভু’। তাতে সুন্দর করে ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িটিতে। কেকের উপর যেভাবে নকশা করা হয়, সেভাবেই নকশা করা হয়েছে। ওজন হয়েছে দু’কেজির কাছাকাছি। ফলে সহজেই গায়ে চড়ানো যাচ্ছে। চট করে দেখলে বোঝাও যাবে না, কিসে তৈরি হয়েছে। শাড়িটি যথেষ্ট টেঁকসই। তবে জোর করে নষ্ট করতে চাইলে নিশ্চয় ছিঁড়ে যাবে।
খরচ ৩০ হাজার টাকা
এই শাড়িটি তৈরি, ডিজাইন ও সামগ্রী কিনতে সব মিলিয়ে মোট খরচ পড়েছে ৩০ হাজার টাকা। তাতে অবশ্য কোনও আপত্তি নেই। কারণ শাড়ি শিল্পী এখন সেলিব্রিটি। যে কোনও ফ্যাশন ডিজাইনারের মতোই।
কে সেই শিল্পী ?
এই শিল্পীর নাম আনা এলিজাবেথ জর্জ। বাড়ি কেরলে। ছোটবেলায় এক শিল্পীকে রুমাল বানাতে দেখেছিলেন, যেটি খাওয়া সম্ভব। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পান তিনি। ওনাম উৎসব উপলক্ষে এই শাড়ি তৈরি করেছেন আনা। আনা বাড়িতে নিয়মিত কেক বানান, ফ্যাশন ডিজাইনিং করেন, একই সঙ্গে বর্তমানে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন।
কেরলের কাসাভুকেই শাড়ি তৈরির মাধ্যম করেছেন শিল্পী
এমন শাড়ি তৈরির বিষয়ে এক সংবাদ সংস্থাকে আনা জানান, একদিন তিনি দেখেন, তার মা নিজের একটি ‘কাসাভু’ শাড়ি কেচে শুকোতে দিয়েছেন। কেরালাতেই তৈরি হয় এই বিশেষ ডিজাইনের শাড়ি। শাড়ির নকশা দেখেই আনার মনে হয়, এমন একটি শাড়িই তিনি তৈরি করবেন।