এক ব্যক্তি লটারির স্ক্র্যাচকার্ড কিনেছিলেন। তা স্ক্র্যাচও করেছিলেন। যা বসার পরে তার কপাল খুলে গেল। তিনি চমকে দেখতে পেলেন দু'কোটি টাকার পুরস্কার। কিন্তু সমস্ত কাগজপত্র না থাকার কারণে তিনি টাকা পাচ্ছেন না। পয়সা বের করার জন্য ওই ব্যক্তির বন্ধু চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি এখন জেলে পৌঁছে গিয়েছেন। ব্যাপারখানা কী? ইনভেস্টিগেট করতে হচ্ছেই।
ঘটনাটি আলজেরিয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত। তিনি বেলজিয়ামের একটি স্ক্র্যাচকার্ড কিনেছিলেন। বেলজিয়ামের ব্রডকাস্টার বিআরটিএ খবর অনুযায়ী এই পুরস্কার জেতার পর ঐ ব্যক্তি তা আদায় করতে পারছিলেন না. কারণ ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির কাছে বেলজিয়ামের কোনও স্থায়ী ঠিকানা ছিল না। এ কারণে তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারছিলেন না। যার কারণে তিনি পুরস্কারের ওই বড় টাকা ট্রান্সফার করতে পারছিলেন না।
পুরস্কারের টাকা খুব বড় এবং এ কারণে তাকে ক্যাশে এটা দেওয়া যাচ্ছিল না। এরপর ওই ব্যক্তির এক বন্ধু তার জন্য এই টাকা পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু চুরির সন্দেহে তাকে জেলে চলে যেতে হয়। ওই ব্যক্তির এক বন্ধুর কাছে সমস্ত কাগজপত্র ছিল এবং তিনি বেলজিয়ামের বাসিন্দা ছিলেন। এ কারণে তিনি হেডকোয়ার্টারে স্ক্র্যাচ কার্ড নিয়ে পৌঁছাৃন কিন্তু পুলিশ তাকে এবং তার ২ সঙ্গীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করেন এবং সেইসঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে নেন। যদিও পরে ওই ব্যক্তি পুলিশকে সমস্ত কথা জানান তার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এখন কার্ড জমা হয়ে গিয়েছে আদালতে। বেলজিয়ান মিডিয়া খবর অনুযায়ী আলজেরিয়ার ব্যক্তি ৪ মাস আগে নিজের দেশ ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি নৌকায় করে স্পেনে পৌঁছেছেন। এরপরই তিনি হেঁটে বেলজিয়াম পৌঁছন। আইনজীবী আলেকজান্ডার জানিয়েছেন, স্টেট লটারি কোম্পানি পেমেন্ট করবে না। কারণ এদের কাছে কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। যদিও আধিকারিকদের বক্তব্য যে যখন পর্যন্তই ব্যক্তি টাকাটা পেয়ে যাবেন। না ততক্ষণ পর্যন্ত তা রিপোর্ট করা হবে না।
এএফপি নিউজ এজেন্সির আলেকজান্ডার জানিয়েছেন যে আমরা ওই ব্যক্তির সমস্ত তথ্য দলিল খতিয়ে দেখছি। জাতে ওই ব্যক্তি টাকাটা পান সে বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। লটারি প্রবক্তা পরিষ্কার করে জানাননি, যে ওই ব্যক্তির কোন নথি খতিয়ে দেখতে চান, যার ভিত্তিতে তাকে টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।