রবিবার রাতে আচমকা কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড কোচবিহার সহ লাগোয়া এলাকা। লাগোয়া অন্য জেলাগুলিতে কিছুটা হলেও সবচেয়ে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয় কোচবিহারেই। ঘটনায় ২ জন মারা গিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ আহত আরও একাধিক।
কোতোয়ালি থানার শুকটাবাড়ি এলাকায় রাতে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ পুলিশ জানায় মৃত দুইজনের নাম জাহাঙ্গির আলম (১৯) ও ভোলা পাল (৬০)। এছাড়াও আহত হয়েছেন এই গ্রামের আরও ২০ জন। আহত দের কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
রাতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হয় কোচবিহারে। এলাকায় প্রচুর বাড়ির চাল ঝড়ে উড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। গ্রামে গাছ পড়ে একাধিক বাড়ি ভেঙ্গে পড়ে।
বন্ধ হয়ে যায় শুকটাবাড়ি এলাকায় একাধিক রাস্তা ৷ সকালেও বহু জায়গায় গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়াও বিদ্যুৎ এর খুঁটি উপড়ে বিপদ আরও বেড়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা এখন বিদ্যুৎ সংযোগহীন। রাতেই কোচবিহার জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা এলাকায় যান।
ঘটনাস্থলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ৷ স্থানীয়রা অভিযোগ জানান উদ্ধারকাজ চলছে খুব ধীর গতিতে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তারা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলী বলেন প্রথমে তারা বুঝতে পারেন নি এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে৷ ঝড়ের সময় ঘরেই ছিলেন। বাড়ি ভেঙ্গে যায়। অনেক কষ্ট করে সন্তানকে বাঁচিয়েছেন ।