সিলিন্ডার তৈরির বরাত মিলছে না। ফলে কারখানা চালিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না কারখানা মালিকের পক্ষে। তাই শেষমেষ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
ফলে হঠাত করে এমন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো কারখানা বন্ধ হওয়ায় আচমকা বেকার হয়ে পড়েছেন ২০০ কর্মী। এভাবে কাজ চলে গেলে খাবেন কী? পরিবার নিয়ে কোথায় দাঁড়াবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
তাই বিনা বাক্য ব্যয়ে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চাইছেন না তাঁরা। তাঁদের দাবি, আলোচনা হোক। অন্তত কিছু বেতন তাঁদের দিতে হবে। নইলে এই পরিস্থিতিতে চাকরি কোথা থেকে পাবেন তাঁরা। না খেয়ে মরতে হবে তাঁদের।
ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। তাঁদের সঙ্গে মালিক পক্ষের কথাও হয়েছে। পরিস্থিতি ভাল নয় স্বীকার করেছেন সকলেই। তবে কর্মীদের দিকটাও মালিকদের ভেবে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এখনও সমাধান হয়নি। শনিবার এ নিয়ে কারখানায় স্লোগানও দিয়েছেন কাজহারা কর্মীরা।
মালিক পক্ষ জানিয়েছে বরাত কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। ফলে কীভাবে তা চালানো সম্ভব তাঁরা বুঝতে পারছে না। কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার জানিয়েছেন এর আগে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার সিলিন্ডার তৈরি হতো। এখন সেটা ৭-৮ হাজারে এসে ঠেকেছে তাই এই অবস্থা।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বরাত না আসাই মূল সমস্যার কারণ বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছেন। এর আগে করোনার প্রথম ওয়েভে দীর্ঘদিন বরাত কম ছিল। তার মধ্যেও কারখানা চলেছে ক্ষতি স্বীকার করেই।
তবু কারখানা চালানো হচ্ছিল। দ্বিতীয় ওয়েভে সেই বরাত কমতে কমতে অনেকটাই কমেছে। যা সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কারখানা চালানো যাচ্ছে না।