scorecardresearch
 
Advertisement
উত্তরবঙ্গ

ওঝার পাল্লায় পড়ে পরপর প্রাণ যাচ্ছে সাপের কামড়ে, আতঙ্কে খোদ প্রশাসনই

বিষাক্ত সাপই এখন মাথা ব্যথা
  • 1/6

শঙ্খচূড়, কালাচ, কেউটে, গোখরো সাপের কামড়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় ক্রমাগত বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। অন্ধ কুসংস্কার, ঝাঁড়ফুঁক, ওঝার দৌলতে বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। এই ঘটনায় গত তিন বছর ধরে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ইন্টারনেট অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বিশ্বেও চা বলয় এবং গ্রামবাংলায় ওঝা, কবিরাজের দাপাদাপি। 
 

বিষাক্ত সাপই এখন মাথা ব্যথা
  • 2/6

বক্সা টাইগার রিজার্ভ পরিবেষ্টিত আলিপুরদুয়ার জেলায় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিষধর সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাভাবিক ভাবেই আলিপুরদুয়ার জেলায় একটি সর্প উদ্যান এবং সাপের বিষ থেকে অ্যান্টিভেনম তৈরির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিভিন্ন সর্পপ্রেমী সংগঠনের সাথে যুক্তরা।

বিষাক্ত সাপই এখন মাথা ব্যথা
  • 3/6

এ রাজ্যে  প্রায় ১১৪ প্রজাতির সাপ আছে।এর মধ্যে আবার ৯৮ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গে। অর্থাৎ গোটা রাজ্যে যে সাপ পাওয়া যায় তার ৮৬ শতাংশ সাপ পাওয়া যায় উত্তরবঙ্গে। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১৮ প্রজাতির সাপ বিষধর, আর বাকি ৭৭ শতাংশ সাপই বিষহীন।
অপর দিকে জানা গিয়েছে, গোটা উত্তরবঙ্গে যে ৯৮ প্রজাতির সাপ আছে তার মধ্যে আলিপুরদুয়ারের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পেই মেলে ৭৬ প্রজাতির সাপ।আর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে মেলে ৩৯ প্রজাতির সাপ। আলিপুরদুয়ার জেলায় যত ধরনের সাপ পাওয়া যায় তা আর গোটা রাজ্যের কোনও জেলাতেই পাওয়া যায় না। 

Advertisement
বিষাক্ত সাপই এখন মাথা ব্যথা
  • 4/6

স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত আড়াই বছরে শুধু মাত্র আলিপুরদুয়ার জেলায় ৩১৮৯ জনকে সাপে কেটেছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। তবে বিভিন্ন সর্পপ্রেমী সংগঠনের দাবি। বেসরকারি হিসেবে জেলায় সাপে কাটা এবং সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি।
কারণ অন্ধ কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা,ওঝা গুণীন দিয়ে ঝাঁড়ফুঁকের কারনে অনেক সাপে কাটা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় না। সেই হিসেবে আলিপুরদুয়ার সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা ৫০০০ জনের বেশি ছাড়িয়ে যাবে এবং মৃত্যুর সংখ্যা অগণিত বলে মনে করছে সর্পপ্রেমী সংগঠন।

বিষাক্ত সাপই এখন মাথা ব্যথা
  • 5/6

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৮ সালে এই জেলায়  মোট সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা ছিলো ৭৯০ জন। এর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে । ২০১৯ সালে সাপে কাটা পড়েছেন ৮৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। ২০২০ সালে জেলায় সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা মোট ৯৭০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, চলতি বছরে মাত্র সাত মাসেই সাপে কাটা পড়েছেন ৫৩১ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আশঙ্কা এই বছরে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য বছরের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে। বক্সা টাইগার রিজার্ভ ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে সংলগ্ন এলাকায় বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বিষাক্ত সাপ কিং কোবরার নিভৃত আবাসস্থল এই দুই জঙ্গল। এছাড়াও সম্প্রতি বক্সার জঙ্গলে দেখা মিলেছে সালাজার পিট ভাইপারের।

 

বিষাক্ত সাপই এখন মাথা ব্যথা
  • 6/6

একটি সর্পপ্রেমী সংগঠনের কর্মী শিলাদিত্য আচার্য বলেন, জলদাপাড়া এবং বক্সার জঙ্গলে প্রচুর পরিমানে বিষধর সাপ পাওয়া যায়। এই সাপগুলো ইঁদুরের লোভে লোকালয়ে চলে আসে। সেখানেই সাপে মানুষের সংঘাত বাধে। শিলাদিত্যবাবু বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলায় একটি সর্প উদ্যান এবং এভিএস তৈরির পরিকাঠামো গড়ে তুললে মানুষের সুবিধা হবে। আলিপুরদুয়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমানে এভিএস মজুত রয়েছে। মানুষ সচেতন হলে অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পাবে।

Advertisement