আন্তর্জাতিক হাতি দিবসেও সুমারির দাবিতে সরব পরিবেশপ্রেমীরা

আন্তর্জাতিক হাতি দিবস পালন হল শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে দুটি হাতিকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করা হল হাতি দিবসে।

হাতিদুটিকে স্নান করিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে পেশ করা হয়। সাফারি পার্কের কর্মী, আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হাতিদুটিকে সাজানো হয়।

কলা, আপেল, আখ সহ বিভিন্ন ফল সাজিয়ে দেওয়া হয় সাফারি পার্কের দুই কুণকি হাতিগুলিকে। তারাও মহানন্দে তা শুঁড়ে তুলে মুখে পুড়ে দেয়।

এদিন সাফারি পার্ক সহ অন্যান্য জায়গায় বন দফতরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হাতি দিবস পালন করা হয়। তাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়।

কোথাও সরাসরি হাতিকে ঘিরেই হয় অনুষ্ঠান, আবার কোথাও হাতি সেজে হাতি সংরক্ষণ ও হাতির উপস্থিতি কীভাবে জঙ্গলের ভারসাম্য রক্ষা করে তা প্রচার করা হয়।

হাতির সংখ্যা উত্তরের জঙ্গলগুলিতে বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সুমারি না হওয়ায় এই মুহূর্তে হাতির সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায়নি। সুমারির দাবিও ওঠে এদিন।

স্ন্যাপ ফাউন্ডেশন এবং দার্জিলিং বন্যপ্রাণী বিভাগ যৌথভাবে বৃহস্পতিবার সুকনাযর নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টারে বিশ্ব হাতি দিবস উদযাপন করল।

তাঁরা জানিয়েছেন, আমরা একটি ক্রিয়াকলাপ এবং গেমিং ভিত্তিক হাতি সচেতনতা পরিচালনা করেছি, যেখানে দার্জিলিং বন্যপ্রাণী বিভাগ এবং কার্সিওং বিভাগের শিশু এবং বন কর্মকর্তা এবং কর্মীরা অংশ নিয়েছিল।

দার্জিলিং বন্যপ্রাণী বিভাগ এবং কার্শিয়ং বিভাগের ডিএল এবং সিডিএলকেও সম্মানিত করা হয়েছে যাঁরা এশিয়ান হাতিদের সুরক্ষায় দারুণ অঙ্গীকার দেখিয়েছে।

ডিএফও দার্জিলিং বন্যপ্রাণী বিভাগ সুরত্ন শেরপা, দার্জিলিং বন্যপ্রাণী বিভাগ এবং কার্শিয়ং বিভাগের কর্মকর্তা এবং স্টাফ সদস্য এবং এসএনএপি টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন।