কোভিড পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ন'মাস বন্ধ ছিল পরিষেবা। অবশেষে বড়দিনের সকালে ফের শুরু শৈলরানী দার্জিলিং-এর টয়ট্রেন পরিষেবা।
আপাতত করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জয় রাইডগুলো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে দফায় দফায় বাকি পরিষেবাও চালু হবে।
সপ্তাহের সাতদিনই থাকছে পাহাড়ের জয় রাইডগুলো। দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে ফের দার্জিলিং পর্যন্ত যাতায়াত করবে টয়ট্রেন। মাঝে বাতাসিয়া লুপে দশ মিনিটের স্টপেজ থাকছে। ওই সময়ে বাতাসিয়া ইকো গার্ডেন এবং গোর্খা ওয়ার মেমোরিয়াল দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।এছাড়া ঘুম স্টেশনে ২০ মিনিটের স্টপেজ থাকছে। ওই সময়ে ঘুম মিউজিয়াম দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
আপাতত দার্জিলং ও ঘুম স্টেশনের মধ্যে দিনে তিনবার যাতায়াত করবে টয়ট্রেন। পরে পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলং ট্রেন চালানো হবে। কোভিড প্রোটোকল মেনেই যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হবে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি।
করোনা রুখতে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ ছিল টয়ট্রেন। কিন্তু দার্জিলিভে আসা পর্যটকদের কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘার পরেই টয়ট্রেনের আকর্ষণ। কিন্তু বেড়াতে এসে টয়ট্রেন না চড়েই ফিরে যেতে হচ্ছিল তাঁদের। শুক্রবার থেকে টয়ট্রেন চালুর খবরে খুশি পর্যটকরা।
আপাতত তিনটে ট্রেন চলবে। যার মধ্যে দুটো স্টিম এবং একটির ডিজেল ইঞ্জিন। প্রথমটি সকাল সাড়ে নটা থেকে সাড়ে এগারোটা, দ্বিতীয়টি ১২টা থেকে ১টা ৪০ এবং তৃতীয়টি ১টা ৫০ থেকে ৩.৪৫ পর্যন্ত চলবে।
প্রথম ট্রেনের ভাড়া মাথাপিছু এক হাজার পাঁচশো টাকা, দ্বিতীয়টির হাজার টাকা এবং তৃতীয়টি এক হাজার ছশো টাকা ধার্য করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
টয়ট্রেন পরিষেবা চালু না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও হতাশা ছিল। এবার তা চালু হওয়ায় খুশি দার্জিলিং-এর মানুষও। এতে পাহাড়ে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা তাঁদের।