স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে ও নাশকতা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল ভারত-ভুটান আর্ন্তজাতিক সীমান্ত।
জেলার আকাশে ড্রোন উড়িয়ে জেলার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে। প্রতিবেশী দুই দেশের আর্ন্তজাতিক সীমান্তে প্রচুর পরিমানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন।
দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে মাছিও যাতে গলতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। অসম-বাংলা সীমানার এবং ভারত-ভুটান সীমান্তে দিনরাত ২৪ ঘন্টা নাকা চেকিং জারি রেখেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ।
মাস খানেক আগেই রাজ্য সরকারকে হুমকি দিয়ে কেএলও জঙ্গি সংগঠনের চিফ জীবন সিংহের ভিডিও বার্তায় সতর্ক এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।
সে কারণেই স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গি নাশকতা এড়াতে ভারত-ভুটান সীমান্ত ২৪ ঘন্টার কড়া নজরদারি শুরু করলো আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।পাশাপাশি অসম-বাংলা সীমানায় ২৪ ঘন্টা দ্বিগুণ নাকা চেকিং শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ।
উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনগুলো বরাবরই তাদের সক্রিয় অস্তিত্বের জানান দিতে স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিন গুলোকে টার্গেট করে নাশকতার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে।
অসমের একাধিক জঙ্গি সংগঠন যেমন উলফা, এনডিএফবি, কেএলও সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন অতীতে বিস্ফোরণ সহ নানান নাশকতামূলক কাজ করেছে এই রাজ্যের আলিপুরদুয়ার জেলায়।
কয়েক দিন আগেই কে এল ও চিফ জীবন সিংহের কয়েকটি ভিডিও বার্তা ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাতে তিনি বর্তমান রাজ্য সরকার কে এক প্রকার হুমকি দিয়েছেন।
আর কেএলও চিফের সেই ভিডিও বার্তা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস।
তাই যাতে অসম থেকে কোনও ধরণের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বাংলাকে অশান্ত করতে এ রাজ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য জেলা পুলিশ যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আন্ত রাজ্য সীমানায়।
এছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভুটানের দূর্গম পাহাড়িপথ ও জঙ্গলের রাস্তা দিয়েও যাতে জঙ্গিদের দল এ রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কেন্দ্রীয় সেনা বাহিনী এবং রাজ্যে পুলিশ ২৪ ঘন্টা কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর , "জেলা পুলিশ সারা বছর এই সীমানায় নজরদারি করে, আর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই সময় নজরদারি আমরা দ্বিগুন করে দিয়েছি। ওখানে পুলিশের বিশেষ স্ট্রেক ফোর্স মোতায়েন আছে নিরাপত্তার কারণে "।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বন্দোবস্ত নিচ্ছে পুলিশ। যদিও সীমান্ত রক্ষা করা পুলিশের কাজ নয়, তবু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও রকম আঁচ না আসে, সে কারণে তাঁরা কড়া বন্দোবস্ত নিচ্ছে।