একটি পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসম-বাংলা সীমানার পুলিশের একটি নাকা চেকিং পয়েন্টে আগুন লাগিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। এরপর ৩১ সি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকশো উত্তেজিত জনতা।
পুলিশের নাকা চেকিং পয়েন্টে আগুন লাগানোর পাশাপাশি ৩১/সি জাতীয় সড়ক অবরোধের জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ভোগান্তির স্বীকার গোটা এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
উত্তেজিত জনতার রোষে দুই রাজ্যের শেষ সীমানায় থাকা পুলিশের নাকা চেকিং অফিসটি সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।জনতার রোষ থেকে প্রাণে বাঁচেন কর্তব্যরত পুলিশের এক আধিকারিক সহ তিন কনষ্টেবল।
শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বাংলার শেষ প্রান্তের আলিপুরদুয়ার জেলার আসাম বাংলা সীমানার ভাঙ্গা পাকরিগুড়ি এলাকায়।এই এলাকাটি আসাম বাংলার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত।
পুলিশের নাকা চেকিং অফিসের আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে আলিপুরদুয়ার জেলার দমকল বিভাগের কর্মীরা। সেই সাথে পাশের জেলা কোচবিহার থেকেও দমকলের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ভলকা-বারোবিশা দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্থানীয় যুবক জয়ন্ত রায় পুলিশের ওই নাকা চেকিং পয়েন্টের সামনে একটি দুর্ঘটনা পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় জয়ন্ত রায়ের মৃত্যু হয়।
কিন্তু জয়ন্ত রায়ের পরিবার এবং তার বন্ধুদের অভিযোগ পুলিশের নাকা চেকিং এর জন্য সময় মতো জয়ন্তকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় জয়ন্তর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে জয়ন্ত রায়ের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে তাদের পরিবার এবং মৃত জয়ন্তের কোন বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজন এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়।