বিধানসভা নির্বাচনের পর কালচিনিতে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত। গত তিনমাসে বিজেপির শক্তঘাঁটি কালচিনিতে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে গত তিনমাসে কালচিনিতে বিজেপি শাসক দল তৃণমূলে যত বিজেপির সমর্থক যোগ দিয়েছেন শুক্রবার সেই সব রেকর্ড ভেঙে কালচিনিতে একসাথে দেড় হাজার বিজেপি নেতা কর্মী শাসক দলের ঝান্ডা হাতে নিলেন।
কালচিনির চা বলয়ের আদিবাসী মহল্লায় মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। এলাকার বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ নেতা কর্মীরাও একে একে শাসকদলে নাম লেখাতে শুরু করায় চিন্তিত জেলা বিজেপির নেতৃত্ব। কালচিনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পাসাং লামা বলেন, এর থেকেও অনেক বড় চমক আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কালচিনি ব্লকে দেখা যাবে। যা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেবে বলে দাবি করেছেন পাসাং লামা।
পাসাং লামার এই বক্তব্যর পরেই জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে তবে কি পাসাং লামা বিজেপির বিধায়ক বিশাল লামার তৃণমূলে যোগদানের কথা উস্কে দিলেন। যদিও পাসাং তাঁর এই বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু খোলসা করেননি।
এদিন জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু লামা ও পবনবীর মোক্তান প্রায় ১৫০০ অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল। এ নিয়ে কালচিনিতে বিধানসভা ভোটের পর ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি’র ৪৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাল।
জয়গাঁ-১ পঞ্চায়েত বোর্ড অবশ্য তৃণমূলের দখলেই ছিল। বিজেপি’র দুই পঞ্চায়েত সদস্য দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে আরও শক্তিশালী হল বলে দলের ব্লক সভাপতি পাসাং লামার দাবি।
স্থানীয় মঙ্গলাবাড়ি এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলে এদিন এই দলত্যাগের অনুষ্ঠান হয়। দলত্যাগের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাই ও তৃণমূল নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও। যদিও দলের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কেউ মুখ খোলেননি।