উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তাই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে এলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের একটি দাবি সনদ তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা। একই সাথে তিনি রাজ্য সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন এদিন।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির রাজ্যের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন কার্যত ধরাশায়ী । তবে সামনে পুরসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনকে হাতিয়ার করে এখন থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে বিজেপি।
তবে বিজেপির নেতৃত্বের ধারণা রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে মানুষের মন জয় করতে পারলে বাড়তি ফায়দা হবে গেরুয়া শিবিরের। আর তাই এবার উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দারন্থ হচ্ছে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।
উত্তরবঙ্গের একাধিক সমস্যাকে তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর আগামী উত্তরবঙ্গ সফরে একটি প্রস্তাব পত্র তুলে দিতে চলেছেন সাংসদ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে নিজের বাস ভবনে উত্তরবঙ্গের বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজু বিস্তা।
এদিন সংবাদমাধ্যমে সাংসদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবারই উত্তরবঙ্গ সফরে আসে কিন্তু একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলে আখেরে কিছুই হয় না। তাই এবারও মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে আসছে আশা করব তিনি যা বলবেন কাজ যাতে হবে।
তাই আমি চাই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরের উন্নয়নে বেশকিছু প্রকল্পের ঘোষণা করুক এবং সেগুলোকে বাস্তব রূপ দিক। মুখ্যমন্ত্রী যদি উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের কোনো কাজ করে তাহলে আমরা তাঁর কোনো বিরোধ করবো না। একই সাথে উত্তরবঙ্গের একাধিক সমস্যা সম্বলিত একটি প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীকে তুলে দেব।
অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের ঘর ওয়াপসি চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন বিধায়ক বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরেছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিধায়কের তৃণমূলে ফিরতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
আর তাই আগে থেকে যাতে তাদের আটকানো যায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে উত্তরবঙ্গর বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে গতকালই বৈঠক করেছেন সাংসদ। তবে বিজেপির অন্দরে যে ভাঙ্গন হতে চলেছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে অন্দরে।
তবে এদিন এই প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, আমাদের বিধায়করা আমাদের সাথেই রয়েছে। দু-একজন চলে গেলে তাতে দলের কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে বিধায়করা যে তৃণমূলে ফিরবে এটা তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুল প্রচার। তবে তৃণমূলের নেতারা আমাদের বিধায়কদের ফোন করছে।