পুজোর আকাশে দুর্যোগের কালো মেঘ। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরবঙ্গ সহ ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলেই আলিপুরদুয়ার জেলা শহর সহ জেলার একাধিক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভুটান পাহাড়ের কোল থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০ টির মতো পাহাড়ি নদী আলিপুরদুয়ার জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে।
এর মধ্যে কালজানি নদীটি জেলা শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলেছে। এছাড়া ভুটান পাহাড় থেকে নেমে এসেছে রায়ডাক, গদাধর, ডিমা, সংকোশ তোর্সা সহ একাধিক পাহাড়ি নদী।
১৯৯৩ সাল ভুটান পাহাড়ে ধসের কারণে কালজানি নদীর জলে বন্যার কবলে পড়ে আলিপুরদুয়ার জেলা। প্রায় ৩০ বছরের পুরানো বন্যার সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও জেলার মানুষের কাছে তরতাজা।সেই থেকে কালজানি নদীটিকে আলিপুরদুয়ার জেলার মানু্ষ দুঃখের নদী হিসেবে অবিহিত করে।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর পেতেই আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন নদী ও স্লুইসগেট পরিদর্শন শুরু করে দিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন।
শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা, মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার এবং সেচ দপ্তরের আধিকারিক প্রীয়ম গোস্বামী নদী বাঁধ পরিদর্শনে যান।
এদিন বিকেলে জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা কালজানি নদীর বাঁধ ও স্লুইসগেট পরিদর্শন করেন। এ ছাড়াও শহরের নীচু এলাকাগুলোতে জরুরি কালীন সময়ে স্পিডবোট ও নৈকা তৈরি রাখতে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার পুরসভার তরফে শহরের জমা জল সরিয়ে নদীতে ফেলতে ১১ টি অত্যাধুনিক পাম্পসেট প্রস্তুত রেখেছে। পুজোর ঠিক আগেই ভারী বৃষ্টির খবরে পুজো কমিটি এবং ব্যবসায়ী মহলে আতংক ছড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীদের আশা ছিল মাসের প্রথম রবিবার পুজোর পোশাক কিনতে মানুষ দোকানে ভিড় জমাবে। কিন্তু ভারী বৃষ্টি পাতের খবরে মন ভার ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে পুজো প্রায় চলে এসেছে।এই মুহুর্তে পুজো কমিটি গুলোর তৎপরতা তুঙ্গে।এই সময় নাগাড়ে দু-তিনদিন ভারী বৃষ্টি হলেই পূজোর সমস্ত কাজ পন্ড হয়ে যাবার আশংকা করছেন পুজো কমিটি গুলো।