বাঘেদের ডেরার পরিধি বৃদ্ধি হচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তিন লক্ষ চারা গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা নিলো বক্সা টাইগার রিজার্ভ।
বক্সা বনবিভাগের পূর্ব ও পশ্চিম দুটি ডিভিশন মিলিয়ে এই ৩ লক্ষ গাছের চারা তৈরি করা হয়েছে।
সামনেই অরণ্য সপ্তাহ। প্রাথমিকভাবে আগামী এক বছরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও লাগোয়া এলাকায় প্রায় ৩ লক্ষ নতুন গাছের চারা লাগানো হবে।উল্লেখ্য, বক্সা টাইগার রিজার্ভের ভিতর দুটি গুরুত্বপূর্ণ নার্সারি রয়েছে রাজাভাতখাওয়া ও দক্ষিণ রায়ডাক রেঞ্জে। গত কয়েক বছর ধরেই বনকর্মীদের একাংশ বনদপ্তরের উদ্যোগে দুটি নার্সারিতে গাছের চারা তৈরির কাজ করে আসছেন গত প্রায় ৩০ বছর।
এ বছরও নার্সারির কর্মীরা সেই কাজ করেছেন। বনকর্মীদের কাজের জন্য সবুজের ঢেউ খেলছে দুই নার্সারিতেই। কি আছে সেই নার্সারিতে?
বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সমারোহ সেই সকল নার্সারিতে। রয়েছে হরেক প্রজাতির অর্কিডও। রয়েছে তৃণভোজী হাতি, বাইসন,হরিণদের খাবারের জন্য জাম,কাঁঠাল,পেয়ারা,হরতকি,বহেরা ছাড়াও অন্যান্য হরেক প্রজাতির গাছ।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পবন কাসওয়ান বলেন, আমাদের চারা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। দ্রুত চারাগুলিকে লাগানো হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট নিয়মেই চারা পরিচর্চার কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ছাড়ার পরিকল্পনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি বছরভর কাঠ মাফিয়া, কাঠ চোরদের উৎপাত লেগেই থাকে জঙ্গলে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের সার্বিক ভাবে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে দুটি নার্সারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলায়।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ এদিন জানান, বক্সার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে চারা রোপণ একটা অন্যতম পদক্ষেপ। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনটিতেও এদিন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রচুর গাছ বিলি করেছে।
বনকর্তাদের একাংশ বলেন, এটা ঠিক মানুষ প্রতি বছর প্রচুর গাছ পরিবেশ দিবস, অরণ্য সপ্তাহে সংগ্রহ করেন।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর বুদ্ধরাজ শেওয়া বলেন, পৃথিবীতে পরিবেশ সুস্থ থাকলে মানুষও সুস্থ থাকবে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দুটি নার্সারি আমাদের কাছে খুব গর্বের। এদিকে, বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনটিতে গোটা জেলা জুরে কোভিভ প্রোটোকল মেনেই গাছ লাগানো হয়েছে।