জঙ্গল বন্ধ। তাতে কি হয়েছে? কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নন চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রের কর্তারা। হোম স্টে, লজ, রিসর্ট, জিপসি স্যানিটাইজ করার প্রথম উদ্যোগ নিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র।
এই কেন্দ্রের হোমষ্টে এবং রিসর্ট মিলিয়ে মোট ২৫ থাকার জায়গাকে স্যানিটাইজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে পর্যটন ব্যাবসায়ীরা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এই গভীর বনাঞ্চলে ঘেরা পর্যটন কেন্দ্রটি ঐতিহাসিক দিক থেকেও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়।
চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির তরফ থেকে ধাপে ধাপে এই লজ গুলি স্যানিটাইজ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাথে যুক্ত ব্যাবসায়ী মহল। এই চিলাপাতা জঙ্গলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ২০ টি হোমষ্টে এবং পাঁচটি রিসর্ট। এছাড়াও বেশ কিছু লজ রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে।
এই কেন্দ্রের জঙ্গল সাফারি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এই জঙ্গল সাফারির জন্য রয়েছে ৯ টি জিপসি।এবং ১৬ জন ট্যুরিস্ট গাইড।
এই পর্যটন কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল ছয়টি গ্রামের হাজার খানেক মানুষ। সকলের জীবন ধারণের একমাত্র উপার্জনের পথ পর্যটন শিল্প।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে চিলাপাতা রেঞ্জের বানিয়াবস্তি,আন্দুবস্তি,কুরমাইবস্তি,উত্তর ও দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি তেই এই হোমষ্টে এবং রিসর্ট গুলো গড়ে উঠেছে।
বেশ কয়েক বছর আগে এই এলাকার স্থানীয় মানুষদের উপার্জনের পথ ছিল জঙ্গল নির্ভর। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এলাকার মানুষকে জঙ্গলের নির্ভরতা থেকে সরিয়ে এনে পর্যটন ব্যবসায় তাদের উপার্জনের পথ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের জেরে এই এলাকার মানুষের মধ্যে অভাব অনটন ফের মাথা চাড়া দিয়েছে।
যদিও এই এলাকার মানুষ পর্যটন শিল্পকেই বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর। এলাকার মানুষদের আশা লকডাউন শিথিল হলেই ফের পর্যটকের দেখা মিলবে চিলাপাতায়।
তাই লকডাউনের মাঝেই পর্যটকদের জন্য আগাম সুরক্ষার ব্যাবস্থা করে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
চিলাপাতা ইকো-ট্যুরিজম সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর অভিক গুপ্ত জানান এই কেন্দ্রের মানুষের একমাত্র উপার্জনের পথ পর্যটন শিল্প।
করোনার জেরে এলাকার মানুষের উপার্জন বন্ধ। লকডাউনে পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ।
তবে আমাদের আশা লকডাউন শিথিল হলেই ফের পর্যটকের ভীড় জমবে এই কেন্দ্রে। সে কারনেই এই কেন্দ্রটি স্যানিটাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চিলাপাতার আরেক পর্যটন ব্যাবসায়ী কিংকর রায় জানিয়েছেন, এই এলাকায় রাজ্য সরকারের সৌজন্যে পর্যটন শিল্পের প্রচার এবং প্রসার ঘটেছে।
স্থানীয় মানুষদের উপার্জনের পথ এই পর্যটন কেন্দ্র। আমরা আশাবাদী লকডাউন শিথিল হলেই চিলাপাতার মানুষের দূর্ভোগ দূর হবে।