ভারত- চিন সীমান্তে রেলপথকে ব্যবহার করে নিরাপত্তাকে জোরদার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শেষ হলেই শুরু হবে রংপো থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ।
শনিবার সেবক-রংপো রেলপথ তৈরির কাজ পরিদর্শন করতে এসে এমনই জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনসুল গুপ্তা।
সিকিম রাজ্যের নাথুলার গা বেয়ে রয়েছে চিনা সীমান্ত। এর ফলে ভারত-চিন সীমান্তে যে কোনও সময় সেনা মোতায়েন করতে সামরিক বাহিনীর একমাত্র পথ থাকে সড়ক পথ। তবে পাহাড়ি পথ হওয়ায় মাঝেমধ্যে পাহাড়ি ধসের কারণে সেনাবাহিনীকে সীমান্তে পৌঁছতে অনেকটা বেগ পেতে হয়।
আর তাই এবার রেলপথ সম্প্রসারণ করে নিরাপত্তায় জোর দিতে চাইছে সরকার। ইতিমধ্যেই সিকিমের সাথে উত্তরবঙ্গকে রেলপথ জুড়তে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে ৪৪ কিলোমিটার এই রেলপথের মধ্যে ৪১ কিলোমিটার রয়েছে দার্জিলিং জেলার মধ্যে।
বাকি ৩ কিলোমিটার রয়েছে সিকিম রাজ্যের অধীনে। একই সঙ্গে এই পথে রয়েছে ১৪ টি টানেল। রেলদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় কথা থাকলেও মাঝে একটানা বৃষ্টিতে ধসের কারণে ব্যাহত হয়েছে কাজ।
তাই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ফের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কাজ করছে রেল। জানা গিয়েছে আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে । এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই রংপো থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেলপথের জন্য জমি দেখা হবে এবং সার্ভের কাজ শুরু হবে।
সংবাদমাধ্যমে রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনসুল গুপ্তা বলেন, সেবক রংপো রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে একদিকে যেমন সিকিমের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি হবে তেমনি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে সিকিমে।
রেলপথের মাধ্যমে খুব কম খরচেই সেখানকার কৃষকেরা সারসহ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস সিকিমে নিয়ে আসতে পারবে এবং তাদের উৎপাদিত ফস কম খরচে সহজেই মার্কেটে পাঠাতে পারবে। দুই রাজ্যের সহায়তায় জমি জট কাটিয়ে এই মুহূর্তে রেলপথ সম্প্রসারণ এর কাজ চলছে।