শহরের বিভিন্ন অংশে জল। এতদিন অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত থাকতেন তাঁরা। এবার নিজেরাই জোর করে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন পুরনিগম চালানোর। ফলে সব দায় এখন তাঁদের।
জরুরি ভিত্তিতে শিলিগুড়ি পুর নিগমে বৈঠক ডাকা হয়। মূলত দুটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে । প্রথমত কয়েকদিন যাবত ভারী বৃষ্টির ফলে যে বন্যাজনিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলা করা ।
মহানন্দা, পঞ্চনই, ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি এই নদীগুলোর জল বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই । কিছু কিছু জায়গা ব্যাপকভাবে জলমগ্ন হয়ে আছে ।
এর আগে ইয়াস পূর্ববর্তী সময়ে পুরনিগমের তরফ থেকে যে একটা সমন্বয় কমিটি করা হয়েছিল, সেটাকে সক্রিয় করা হয়েছে। তিনটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। পুর নিগম, ইরিগেশন এবং এসডিও অফিসে।
জরুরি ভিত্তিতে আমরা খাদ্য সামগ্রী, ত্রাণ সামগ্রী এবং ত্রাণ শিবিরও প্রস্তুত করা হবে যাতে করে বন্যা কবলিত মানুষদের দ্রুত স্থানান্তর করা যায়।
দ্বিতীয়ত: ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে । সুডা -র ডাইরেক্টর, কে এম ডি এ -র মুখ্য বাস্তুকার, জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ের আধিকারিক বৃন্দ এসেছেন।
তারা এখানে এই কাজগুলো পরিদর্শন করছেন । শুক্রবারই এনজিটিএ থেকে টেকনিক্যাল জাস্টিসের শহর পরিদর্শন করার কথা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুর নিগমের প্রশাসকমন্ডলী, সেচ দপ্তর, পিএইচই, ইলেকট্রিসিটি, মহকুমাশাসক, বিভিন্ন লাইন ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক বৃন্দ সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
তবে শহরে বন্যা নয়, বন্যা পরিস্থিতি নয়, আসলে কোনও নদীর জল নয়, নিকাশির অভাবে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। জল সরানোর ব্যবস্থা না করে কন্ট্রোল রুম খোলায় অবাক অনেকেই।