উত্তরবঙ্গে আসা পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবার বাঁশ বাগান ও নার্সারি তৈরি করার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। এই নার্সারিতে থাকবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ। খুব তাড়াতাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র গজলডোবা ভোরের আলোতে তৈরি হবে এই বাঁশ বাগান।
ফলে এখান উত্তরবঙ্গে পর্যটকরা এলে চায়ের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশকে চাক্ষুষ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগ উত্তরের পর্যটনে নতুন মাত্রা আনবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
উত্তরের পর্যটন শিল্প বলতে সবার আগে যেটা মাথায় আসে তা হলো সারি সারি চায়ের বাগান এবং পাহাড় কিংবা ডুয়ার্সের ঘন অভায়ারণ্য। তবে এবার উত্তরবঙ্গে পর্যটকরা এলে চায়ের সাথে সাথে মিলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গার বাঁশ দেখার সুযোগ।
এই প্রথম বার উত্তরবঙ্গের ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে দু একর জমির উপর ওই বাঁশের বাগান তৈরি করার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ প্রদর্শনী হবে সেই সাথে থাকবে নার্সারিও।
এখানেই শেষ নয় উত্তরবঙ্গের গাজলডোবা পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবার বৈকুন্ঠপুর এলাকার রাজারাজরাদের ইতিহাস এবং তাদের ঐতিহ্যকে এবার পর্যটন মেলার মাধ্যমে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। ইতিমধ্যে পর্যটকদের সামনে উত্তরবঙ্গের জীবন্ত ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে তিনদিনব্যাপী বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যালের আয়োজন করেছে পর্যটন দপ্তর ও হিমালয়ান হসপিটালিটি এন্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক।
আগামী ২৫ মার্চ কালিম্পং থেকে শুরু হবে ওই কার্নিভ্যাল। ২৭ মার্চ শেষ হবে গজলডোবার 'ভোরের আলো' পর্যটন কেন্দ্রে। মাঝে ২৬ শে মার্চ দার্জিলিঙে হবে এই কর্নিভ্যাল। তবে এই গোটা কার্নিভ্যালের মূল আকর্ষণ ভোরের আলো। এই কার্নিভ্যালে থাকবে পাহাড় ও উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য। সাথেই তুলে ধরা হবে বিলুপ্ত প্রায় জনজাতিগুলির সংস্কৃতি এবং পাহাড়ের হেরিটেজ শিরোপা থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে। সব মিলিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীদের আসা ওই কার্নিভ্যালের ফলে ফের ঘুরে দাঁড়াবে উত্তরের এই শিল্প।
রাজ্য পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর (উত্তরবঙ্গ) তথা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের উত্তরবঙ্গের জেনারেল ম্যানেজার জ্যোতি ঘোষ বলেন, " উত্তরবঙ্গের সংস্কৃতি ও পর্যটন কেন্দ্রকে একত্রিত করা এবারের এই কার্নিভ্যালের উদ্যোগ। উত্তরের লোকশিল্প, উত্তরের সংস্কৃতিকেই আমরা তুলে ধরব। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে গজলডোবাতে বাঁশ বাগান তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ এবং তাদের বৈচিত্র পর্যটকদের কাছে তুলে ধরা হবে।"
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, " বাঁশের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার শিল্পীদের হাতের কাজ তুলে ধরা হয় । তাই এই বাঁশ কত প্রকার হয় তা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ। তাছাড়াও এই বাঁশ কীভাবে পর্যটনের ক্ষেত্রে বিকল্প পথ হতে পারে সেই ক্ষেত্রে এই বাঁশ বাগান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।