বৈবাহিক সূত্রে তারা সকলেই ভারতের নাগরিক। অথচ এখনও এপিক কিংবা আধার কার্ড হয়নি। নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পেরে কোভিড-১৯ টিকা থেকে বঞ্চিত ১৫৭ জন ভুটিয়া মহিলা।
কোভিড-১৯ টিকা থেকে বঞ্চিত হবার কারণে বেশ বিপাকে পড়েছেন ভুটান থেকে বিয়ে হয়ে এদেশে চলে আসা ভুটিয়া মহিলারা।
এই মহিলারা টিকার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও আশার আলো দেখতে পাননি। করোনা অতিমারী থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে টিকাকরণের কর্মসূচি জোর কদমে চললেও টিকা থেকে বঞ্চিত ভারতের এই ১৫৭ জন গৃহবধূ।
অন্যদিকে টিকা না পাওয়ার জেরে ভুটানে নিজেদের বাপের বাড়িতেও যেতে পারছেন না এই মহিলারা। এই ১৫৭ জন মহিলা সকলেই ভুটানের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করতেন।
তবে বর্তমানে সবাই স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন ভারত-ভুটান সীমান্তের কালচিনি ব্লকের জয়গাঁতে। যদিও প্রতিবেশী দেশের প্রাক্তন বাসিন্দা মহিলাদের করোনা টিকা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনের তরফ থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনের নির্দেশে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ভূষণ শেরপা ওই ভুটানি মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।
ভূষন শেরপা বলেন, তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে একজন ভুটানি মহিলার ভুটানের ভোটার কার্ড দিয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন। সেই রেজিস্ট্রেশন সফলও হয়। এরপর তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সাথে কথা বলে সমস্ত আটকে থাকা ভুটানি নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন শুরু করেন । এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদেশে বিয়ে হয়ে আসা এক মহিলা সাংগে ছেত্রী দোরজি জানান, আমি ১০ বছর হল বিয়ে হয়ে এদেশে এসেছি। তবে এখনও নাগরিকত্ব পাইনি। আর সেই কারণেই আমরা করোনা টিকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত। আমরা এদেশের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।