দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে মহানন্দা নদী থেকে রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ বাঁধটি। সংস্কারের অভাবে বেহাল রাস্তা। বাঁধের যত্রতত্র দেখা দিয়েছে ফাটল।
সংষ্কারের অভাবে ধুঁকছে দুটি বিধানসভার এই রক্ষাকবচ বাঁধটি। অথচ নজর নেই কারও। একের পর এক নির্বাচন চলে যাচ্ছে। প্রতিশ্রুতি প্রতিবারই মেলে। কিন্তু কাজ কিছুই হয় না।
মালদার চাঁচলের স্বরুপগঞ্জ ,গালিমপুর থেকে মাগুরা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় বাঁধ এবড়ো খেবড়ো ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
যা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা। দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের। যদিও কটাক্ষের সুরে বিজেপি গলায়।
বন্যা ভাঙন মালদা জেলার অন্যতম সমস্যা। ফলে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস থেকে মালদার সমস্ত নদীতে জল বেড়ে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। যার ফলে প্রচুর মানুষের ছাষের জমি,বসতভিটা নদী গর্ভে চলে যায়।
কার্যত কয়েক মাস খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে হয়। আর মহানন্দা নদীর তীরে বাস ভাবনা বারো মাস। এখন বর্ষা না থাকলেও এখন থেকেই বর্ষার আতঙ্ক নিয়ে ঘুম উড়েছে চাঁচোলের গালিমপুর স্বরূপগঞ্জ নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের।
এক দশকের বেশি সময় ধরে মহানন্দার বাঁধ বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাঁধের মাঝের অংশে তৈরি হয়েছে ফাটল বেরিয়ে এসেছে কঙ্কালসার চেহারা আর যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত দুই বিধানসভার লক্ষাধিক মানুষ।
দ্রুত বাঁধ সংস্কার করা হোক না হলে সামনের বর্ষায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। দ্রুত বাঁধ সংস্কারের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দপ্তর কে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।