মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফণি মনসার গাছে বাঁধা অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি। কী রয়েছে তাতে? কৌতুহলি জনতার ভিড় জমে যায় সাত সকালেই।
বেশ কয়েকজন অত্যুৎসাহীর উপস্থিতিতে মালদা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের কর্মীরা গাছ থেকে হাঁড়ি নামিয়ে তার মুখে বাঁধা কাপড় খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। তার মধ্যে রাখা একটি বিষাক্ত সাপ।
যদিও মুখটি গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তবু এমন অভাবনীয় ঘটনায় হকচকিয়ে যান উপস্থিত জনতা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে।
পরে মালদা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের কর্মীরাই ফের কলসির গামছা ভালভাবে এঁটে জঙ্গলে উন্মুক্ত পরিবেশে ছাড়ার ব্যবস্থা করেন পরে। সন্দেহ করা হচ্ছে, মালদা মেডিক্যালে আসা কোনও সাপে কামড়ানো রোগীর পরিবারের এই কাজ হয়ে থাকতে পারে।
এখনও ওই রোগী-সহ তাঁর পরিবাররকে খোঁজা হচ্ছে। তাঁদের এই নির্বুদ্ধিতায় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো মালদা মেডিক্যাল চত্বরে। আর এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
যদিও মেডিক্যালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর আত্মীয়রা জানান, কাউকে হয়তো সাপে কামড় দিয়েছে। তাতেই গ্রামের মানুষ ওই সাপটিকে ধরে কলসিতে করে মেডিক্যালে নিয়ে এসেছে।