কদিন আগেই নামকরণ করা হয়েছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের চার রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের। শীলা ও বিভানের নবজাতক চার শাবকের আকর্ষণে ভিড় বাড়ছে পার্কে। যদিও এখনও তাদের খোলা এনক্লোজারে ছাড়া হয়নি। আরও কিছুদিন পর ছাড়া হবে। আপাতত মায়ের সঙ্গেই থাকছে ভিতরে।
পাশাপাশি ব্যাঘ্রশাবকদের লিঙ্গ নির্ধারণও করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। চার বাঘের বাচ্চার মধ্যে দুটি পুরুষ ও বাকি দুটি স্ত্রী বাঘ বলে জানা গিয়েছে। পুরুষ বাঘ দুটির নাম রাখা হয়েছে শেরা ও শিবা। আর স্ত্রী বাঘ দুটির নাম রাখা হয়েছে তেজল ও তারা।
শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে গত ১০ মার্চ রাতে সুস্থ ভাবেই বাঘিনী শীলা জন্ম দেয় ৫ টি সন্তানের। কিছুদিন পরে একটি শাবকের মৃত্যু হয়েছিল। বাকিগুলি সুস্থই রয়েছে। তারপর থেকে খুব যত্ন ও বিশেষ নজরদারির মধ্যেই মা ও ৪ সন্তানকে রাখা হয়েছে এনক্লোজারে।
শাবকগুলির চার মাস বয়স হয়ে গিয়েছে। জন্মের পর মায়ের কাছ ছাড়া হয় না শাবকরা। ওই সময় তাদের ঘাঁটাতে যাওয়াও বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু মায়েদের সঙ্গেই শাবকগুলো ছিল সেহেতু তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। মায়ের কোল ছাড়তেই লিঙ্গ নির্ধারণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের। আর লিঙ্গ নির্ধারণ হওয়ার পরই শাবকদের নামকরণ।
শিলিগুড়িতে বেঙ্গল সাফারি পার্ক হওয়ার পর পরই ওড়িশার নন্দন-কানন থেকে আনা হয়েছিল দুই রয়াল বেঙ্গল টাইগার স্নেহাশিস ও শীলাকে। ২০১৮ সালে শীলা জন্ম দেয় ৩ টি শাবকের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের নাম দিয়েছিলেন ইকা, রিকা, কিকা।
পরবর্তীতে স্নেহাশিসকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। তার জায়গায় আনা হয় পুরুষ রয়াল বেঙ্গল টাইগার বিভানকে।২০২০ র ১২ অগাস্ট শীলা জন্ম দেয় আরও ৪ টি শাবকের। সব মিলিয়ে শীলা ১১ সন্তানের মা হলেও বর্তমানে জীবিত রয়েছে ১০ টি সন্তান। তার মধ্যে একটি সাদা বাঘও রয়েছে।