জেলায় গর্ভবতী মায়েদের মৃত্যুর হার বেশি। সেই মত সার্ভে করে মেডিক্যল কতৃপক্ষ। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সম্প্রতি স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে মালদা মেডিক্যালে মাতৃমা বিভাগে গর্ভবতি মহিলাদের জন্য চালু হল জরুরি বিভাগ।
এখন থেকে আর পুরোনো জরুরি বিভাগে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না গর্ভবতী মায়েদের। এমনি পরিষেবার কথা জানান মালদা মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।
মালদা মেডিক্যাল কলেজে বরাবরই রোগীদের চাপ বেশি। কারন বিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিন দিনাজপুর ও মালদা লাগোয়া জেলার বেশির ভাগ রোগী চিকিৎসার জন্য এখানে আসে।
তাছাড়া মালদা জেলার চাপ তো আছেই। কিন্তু মেডিক্যালের জরুরি বিভাগ রয়েছে একটি। অনেক সময় দেখা যায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসক নার্স থাকে। কিন্তুু বেশি রোগী এক সাথে চলে আসায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
যার ফলে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হয় রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। যার ফলে দেখা গিয়েছে গর্ভবতী মায়েদের অসবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
অনেক সময় মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। পাশাপাশি এক সময় মালদা হাসপাতাল শিশু মৃত্যুতে শীর্ষ স্থানে ছিল। পরবর্তীতে তা কমে যায়।বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে আসতেই একটি সার্ভে শুরু করে রাজ্য জুড়ে। সেখানে দেখা যায় তার মধ্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজও রয়েছে।
সম্প্রতি মালদা মেডিক্যালে স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই প্রতিনিধি আসেন। তাদের সাথে মেডিক্যাল কতৃপক্ষের দীর্ঘ বৈঠকের পর স্বাস্থ্য দপ্তরেরর নির্দেশে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের জন্য মালদা মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগের মধ্যে জরুরি বিভাগ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই মত মাতৃমা বিভাগের ভিতর শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য জরুরি বিভাগ খোলা হয়। যেখানে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসক ও নার্স থাকবে। এর ফলে গর্ভবতী মায়েদের আর পুরোনো জরুরি বিভাগে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না। পুরোনো জরুরি বিভাগে অন্যনা পরিষেবা চালু থাকবে। এতে মৃত্যুর হার অনেকটা কমবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
মালদা মেডিক্যালের প্রিন্সিপ্যাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন,আগে গাইনি বিভাগের পরিষেবা একটি মাত্র জরুরি বিভাগে করা হতো। এবার স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে মাতৃমা বিভাগের মধ্যে জরুরি বিভাগ খোলা হল। পৃথকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের করা হবে।