উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীর দেহাংশ নিয়ে ধন্দে পড়ল পুলিশ ও বনদপ্তর। দুই পাচারকারীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বন্যপ্রাণীর দেহাংশ নিয়ে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ।
শুক্রবার রাতে রুটিন নাকা তল্লাশির সময় আলিপুরদুয়ারের সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশ মথুরা মোড় এলাকায় দুই সন্দেহভাজন যুবকেকে গ্রেপ্তার করে।
তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে ওই অবিকল গন্ডারের শৃঙ্গের মতো দেখতে একটি বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উদ্ধার হয়। ওই বন্যপ্রাণীর দেহাংশটি আদতেও গন্ডারের শৃঙ্গ কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে।
শনিবার সাংবাদিক সন্মেলন করে আলিপুরদুয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন "গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবককে শনিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তুলে আদালতের থেকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গোটা বিষয়টি জানা যাবে। প্রকৃতপক্ষেই উদ্ধার হওয়া বস্তুটি বন্যপ্রাণীর দেহাংশ কিনা তা নিশ্চিত হতে বনদপ্তর ও বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
একেবারেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন চিলাপাতার জঙ্গলের কাছে বন্যপ্রাণির দেহাংশটি উদ্ধার হওয়ায় ফের নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বনদপ্তরের অন্দরে।
শুক্রবার গভীর রাতে নাকা তল্লাশির সময় মথুরা মোড় এলাকা থেকে মোটরসাইকেল সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ।দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোচবিহার জেলার পুন্ডিবাড়ির বাসিন্দা অনির্বাণ দাস ও অভিজিত সূত্রধরকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় মামলা রুজু করে আদালতে পেশ করা হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের চিলাপাতা রেঞ্জের মেন্দাবাড়ির জঙ্গলে একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি গন্ডারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে শৃঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল চোরাশিকারিরা। পরবর্তীতে তদন্তে নেমে ওই গন্ডার নিধনে যুক্ত থাকার অপরাধে পাঁচ দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে বনদপ্তর।
উদ্ধার হয় গন্ডার নিধনে ব্যবহৃত দুটি রাইফেল ও তাজা কার্তুজ। তবে পাচার হওয়া শৃঙ্গটি আজও নিখোঁজ রয়েছে। জলদাপাড়া বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম জানিয়েছেন "বিষয়টিতে আমরা নিশ্চয় উদ্বিগ্ন। তাতে জলদাপাড়ার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। আদালত ও পুলিশের তরফে কোনও নির্দেশ এলে আমরা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।