কথায় আছে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। অলিম্পিক শেষের মুহূর্তে ১২১ বছরের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ড এর খরা কাটিয়ে সোনা এনে দিয়েছেন সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া।
তাঁর নিক্ষেপ করা বর্শা গোটা পৃথিবীর এঁকে দেওয়া গণ্ডি ছাড়িয়ে যখন নির্ধারিত এলাকার বাইরে পৌঁছেছে, গোটা ভারতবাসী অধীর আগ্রহের অবসান হয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক প্রজন্মের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে।
আর সেই মুহূর্তে উল্লাসে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। কে কীভাবে এই অলিম্পিক গোল্ড সেলিব্রেট করবে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে সকলের মধ্যে।
তার নিজের রাজ্য হরিয়ানা তো বটেই, প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি গলিতে শুরু হয়েছে উৎসব। খেলার শহর বলে পরিচিত শিলিগুড়িও তা থেকে বাদ থাকে কেন ?
অতীতে একাধিক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় উপহার দেওয়া শিলিগুড়িতে ক্রীড়াপ্রেমীরা উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে নেমে পড়েছেন রাস্তায়।
সোনা জয় কনফার্ম হতেই শিলিগুড়ি cricket-lovers দের পক্ষ থেকে এদিন কেক কেটে, নীরজ চোপড়ার ছবিতে লাড্ডু খাইয়ে সেলিব্রেশন চলেছে অনেক রাত পর্যন্ত।
সংগঠনের সভাপতি মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র অলিম্পিকের দিকে চোখ রাখলে হবে না। তার আগের চারটি বছরে একই ভাবে নজর রেখে খেলোয়াড়দের গড়েপিটে নিতে হবে।
যে সমস্ত বিষয়গুলি রয়ে গিয়েছে, সেগুলি শুধরে নিয়ে পরের অলিম্পিকের জন্য তৈরি হলে ৭ এর পদক ১৪ থেকে পৌঁছবে এটা নিশ্চিত।
এরপরই তারা আতশবাজি পুড়িয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন সদস্যদের সঙ্গে একযোগে। জানিয়ে দেন সেলিব্রেশন কয়েকদিন চলবে।
এদিকে শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও কেক কেটে নীরজ চোপড়ার ছবি রেখে বাজি পুড়িয়ে এ উল্লাস জ্ঞাপন করা হয়।
সমিতির সভাপতি তথা একাধিক ক্রীড়া সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক খোকন ভট্টাচার্য জানান, এমন মুহূর্ত প্রজন্মে একবার আসে। এর আগে কোনও প্রজন্মই দেখে যেতে পারেনি।
এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বাজি পুড়িয়ে নিচে গান করে বিভিন্নভাবে যে যেমন পেরেছেন উল্লাস প্রকাশ করে শহর জুড়ে। অনেকেই জয়ের মুহূর্ত লাইভ দেখেছেন।
ফলে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। ক্রিকেট, ফুটবল, টেবল টেনিস সহ সব খেলোয়াড়রাই এ থেকে শপথ নিয়েছেন আগামীতে আরও ভাল কিছু করার।