শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে ট্রাকস্ট্যান্ডে INTTUC এর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলে বাধা দিতে গিয়ে জখম হয় এক পুলিশ কর্মী। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে নিউ জলপাইগুড়ি থানা পুলিশ ।
নিউ জলপাইগুড়ি এলাকাতে মাঝেমধ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত খবর মেলে। ঠিক একইভাবে সোমবার সকালে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
জানা গিয়েছে একটি গোষ্ঠী বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা প্রসেনজিত রায়ের নিয়ন্ত্রণে এবং অন্য একটি গোষ্ঠী সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা জয়দীপ নন্দীর নিয়ন্ত্রণে।
অভিযোগ এদিন সকালে ওই এলাকার একটি ট্রাকের মধ্যে এক গোষ্ঠীর শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা লক্ষ্য করেন বেশ কিছু লঙ্কার গুঁড়ো এবং লাঠিসোটা রয়েছে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ঘটনাকে নিয়ে জয়দীপ নন্দী গোষ্ঠী ও প্রসেনজিতের গোষ্ঠীর শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকলে ঘটনার খবর দেওয়া হয়নি জলপাইগুড়ি থানা পুলিশকে। পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে শ্রমিক সংগঠনের হাতাহাতির মাঝে আহত হয় এক পুলিশ কর্মী। তাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতে থাকলে ঘটনাস্থলে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি ইস্ট জয় টুডু। তবে আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত ট্রাক ইউনিয়নের সভাপতি মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, আসলে আমাদের সিন্ডিকেট সুষ্ঠভাবে চলছিল। তাই প্রসেনজিৎ এর লোক আমাদের ছেলেদের মারধরের চক্রান্ত করেছিল। অন্যদিকে তৃণমূল থেকে বহিস্কৃত শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রসেনজিৎ রায় বলে, অনেক দিন আগেই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই।