বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে তার পদত্যাগের দাবিতে এবার পথে নামলো তৃণমূল। সুমন কাঞ্জিলালের অফিসেই নাকি চলছিল প্রতারণা চক্র।
অভিযোগ উঠেছে, অফিসে বসেই বিদ্যুৎবন্টন কম্পানির জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আবোলতাবোল বুঝিয়ে নেওয়া হয়েছে অর্থ। জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীদেরও বাদ দেয়নি প্রতারক। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারে রাজনীতি রীতিমতো সরগরম ছিল গত কয়েকদিন।
ইতিমধ্যেই সুমন কাঞ্জিলালের পদত্যাগের দাবি তুলেছে প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।সেই একই দাবিতে জেলা সদরকে স্তব্ধ করে প্রতিবাদ মিছিল শাসকদলের। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী,প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চ্যাটার্জি, সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ ছাত্র, যুব,মহিলা নেতৃত্বরা।
মিছিল থেকে দাবি ওঠে দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে জাল নিয়োগপত্র কান্ডে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করুক পুলিশ। পদত্যাগ করুক বিজেপি বিধায়ক।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তীতে এদিনই সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করলো তৃণমূল। আলিপুরদুয়ার চৌপথি থেকে প্রায় ৫০০ শতাধিক মানুষ মিছিলে অংশ নেন। ফায়ার ব্রিগেড অফিসের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।
উল্লেখ্য, জাল নিয়োগপত্র কান্ডে ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তের নাম সামনে এনেছেন সৌরভ চক্রবর্তী।সেই অভিযুক্তের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ককে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিস সুপারকেও অভিযোগ জানিয়েছেন সৌরভ।
সৌরভ বলেন,নীতিগত ভাবে বিজেপি বিধায়কের আর পদে থাকা মানায় না। তার অফিসেই জাল কারবার চলছিল তিনি জানেন না। এটা মানুষ বিশ্বাস করছে না।
মানুষের দাবিতেই আমরা রাস্তায় নেমেছি। পালটা নিজের বক্তব্যতে সৌরভ চক্রবর্তীকেও আক্রমণ করেছেন সুমন কাঞ্জিলাল। সৌরভ বলেন,বিজেপির বিধায়কের নাম মুখে আনতে চাই না।
তিনি আমার বসত বাড়ি,জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তার উত্তর যাবতীয় কাগজপত্র সহ সংবাদ মাধ্যমে দিয়েছি। বিজেপির বিধায়ক যদি বাপের ব্যাটা হন তাহলে প্রমাণ করুক উনি আমাদের বাড়ি,জমি অবৈধ।
আর তা না পারলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই রাস্তায় নাকে খত দিক।উল্লেখ্য, সৌরভ চক্রবর্তী এদিন তার বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ সুমন কাঞ্জিলাল এনেছিলেন তার জবাব দিতে যাবতীয় সরকারি কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন।