ঠাণ্ডায় কাঁপছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং, শুক্রবার ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা পাহাড়ে

পর্যটকদের জন্য সুখবর। শুক্রবার ফের তুষারপাত হতে পারে পাহাড়ে। সেই সঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিংয়ে। বৃহস্পতিবার এমনিতেই দার্জিলিংয়ের চটকপুর, চিমনিগাঁও, সহ টাইগার হিল, জোরবাংলো, রিম্বিকের বিভিন্ন এলাকা তুষারে ঢাকা পড়ে যায়। এ ছাড়া পাহাড়ে কিছু জায়গায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। যার ফলে গোটা জেলা হাড়কাপানো ঠান্ডায় কাবু।

উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পে এই সময়টা ভরা পর্যটন মরশুম। প্রতি বছর এই সময়টায় পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে পাহাড়। তবে সেভাবে তুষারপাত না হওয়ায় পর্যটকরা এর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বছরের শুরু থেকেই পরপর কয়েকবার তুষারপাতে ঢেকেছে পাহাড়।

শুধু তাই নয় দার্জিলিংয়ের পর্যটকদের অত্যন্ত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু দার্জিলিং ম্যাল চৌরাস্তাতেও দীর্ঘ কয়েক বছর পর তুষারপাত হয়েছে। যা  চুটিয়ে উপভোগ করেছিলেন পর্যটকরা। আবারও বৃহস্পতিবার তুষারপাতে ঢাকলো দার্জিলিংয়ের বেশ কিছু এলাকা।

তবে এত কিছুর মধ্যেও এই মুহূর্তে পাহাড়ে পর্যটকশূন্য বললেই চলে। কারণ করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্র গুলিকে রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধের আওতায় আনায় পাহাড় ছেড়েছে পর্যটকরা। যার ফলে তুষারপাত হলেও সেই অর্থে পাহাড়ে পর্যটক না থাকায় হতাশ ট্যুর অপারেটররা।

এই মরশুমে প্রথমে তুষারপাত হয়েছিল ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। এরপর ২০ জানুয়ারি হয়েছিল তুষারপাত। তবে আবার বৃহস্পতিবার তুষারের চাদরে ঢেকে যায় পাহাড় একাংশ । এদিন দার্জিলিংয়ের চটকপুর থেকে টাইগার হিল পুরো সাদা হয়ে যায়। তবে এই নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার জন্য পাহাড়ে পর্যটক নেই। ফলে এই মরশুমের তুষারপাতকে কাজে লাগাতে পারেনি পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই পর্যটন শিল্পে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে এ বছর পর্যটকের ভিড় উপচে পড়েছিল পাহাড়ে। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা ছিল তুষারপাত। আমরা চেয়েছিলাম শীতের মরশুমে তুষারপাতকে কাজে লাগিয়ে বাইরে থেকে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটককে আনব। আর যেভাবে এ বছর তুষারপাত হচ্ছে তা আগে হয়নি। আবার কবে হবে তাও কারও জানা নেই। তাই এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পেরে আমরা সত্যি হতাশ।
        

এমনিতেই গোটা জেলায় গত কয়েকদিন ধরে একলা পেরেছিল শীতের প্রকোপ। তার উপর বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের বেশ কিছুটা অংশে তুষারপাত হয় গোটা জেলায় বাড়ল শীতের কামড়। সমতল থেকে পাহাড় শীতে জবুথবু জেলাবাসী। কিন্তু শীতের কাপড় থেকে এক্ষুনি নিস্তার নেই বলে ইঙ্গিত দিলেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

সিকিম আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা এদিন  জানান, বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েক জায়গায় তুষারপাত হয়েছে। তবে শুক্রবারও পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভবনা রয়েছে। সেই সাথে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই সপ্তাহে ঠান্ডা এরকমই থাকবে। রাতে তাপমাত্রা কিছুটা ওঠানামা করবে। এখনই ঠান্ডা চলে যাচ্ছে না।