রান্না ঘরের জ্বলন্ত উনুনের পাশের গর্ত থেকে কিলবিল করে বেড়িয়ে এলো ১৭টি বিষাক্ত কালো কুচকুচে গোখরো সাপের বাচ্চা। মুহূর্তে ছোট্ট মাটির রান্না ঘরের দখল নিলো বিষাক্ত গোখরো সাপের বাচ্চাগুলি। রান্না ঘর গোখরো সাপের দখলে চলে যাওয়ায় সারাদিন অনাহারে কাটালো একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য।
রান্না ঘরে বিষাক্ত সাপের দৃশ্য দেখে রান্নাঘরে রান্নায় ব্যাস্ত বাড়ির গৃহিণীর ভিরমি খাওয়ার উপক্রম। প্রাণ বাঁচাতে রান্না ফেলে পড়িমরি করে দৌড়ে পালিয়ে গেল ব্যস্ত গৃহিণী। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের খোঁয়ারডাঙ্গা গ্রামে।
এদিন খোঁয়ারডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন সুবীর দাসের বাড়িতে রান্নাঘরে তার স্ত্রী দুপুরের রান্না করতে রান্না ঘরে প্রবেশ করে। উনুন জ্বালিয়ে ভাতের হাঁড়ি উনুনে চড়াতেই উনুনের পাশের গর্ত থেকে এক এক করে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে কালো কুটকুটে গোখরো সাপের বাচ্চা।
সুবীরবাবু বলেন, গোখরো সাপের বাচ্চাগুলো মুহূর্তের মধ্যে গোটা রান্না ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সাপগুলো দেখে বাড়ির লোক চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে বাজারের মানুষ প্রতিবেশীরা এসে বাড়িতে ভিড় জমায়।
এরপর খবর দেওয়া হয় বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষের সাপ উদ্ধারের দলকে। ইতিমধ্যেই গোখরো সাপের বাচ্চার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুটি সর্প প্রেমী সংগঠনের সদস্যরা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। তারাই ওই সাপ গুলো রান্না ঘর থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে।
প্রথমে তারা রান্নাঘর থেকে ৮ টি গোখরো সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে। এরপর ওই দুই দলের সদস্যরা উনুনের পাশের গর্তে খুঁড়তে শুরু করে। গর্ত খুঁড়ে আরও পাঁচটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে।
তারপর ওই গর্তে জল ঢালতেই ফের চারটি গোখরো সাপের বাচ্চা গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসে। সর্পপ্রেমী সংগঠনের তরফে রোহিত কর ও মানবেন্দ্র জানায় এই সাপের বাচ্চাগুলোর বয়স দুই দিনের মতো।আগুনের গরমে সাপের বাচ্চা গুলো বাইরে বেড়িয়ে আসে।