গরমের ছুটি পার হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষার মরশুম চলছে। তাতে কী উত্তরবঙ্গে আচমকা দাবদাহে গোটা উত্তরবঙ্গ এখন পাহাড়মুখী।
বাইরের পর্যটক নয়, এখন দার্জিলিং, গ্যাংটক, কালিম্পং, মিরিকের হোটেল ভরে গিয়েছে স্থানীয় পর্যটকে। বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন পাহাড়ের যত্রতত্র।
গরমের ছুটি পড়তেই পর্যটকদের থিকথিকে ভিড়ে জমজমাট পাহাড়। তবে তাঁদের জন্য বুকিংয়ের ব্যবস্থা করতেই হিমশিম খাচ্ছেন উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ হোটেল মালিক।
তাঁদের দাবি, দাবদাহ এড়াতে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ছুটি কাটাতে চাইছেন দক্ষিণবঙ্গ-সহ গোটা দেশের পর্যটকেরা। প্রতি দিনই বুকিংয়ের জন্য ফোন করছেন তাঁরা। তবে তাঁদের হোটেলে জায়গা দিতে পারছেন না তাঁরা।
উত্তরবঙ্গ জুড়ে গত চার-পাঁচ দিনে অসহ্য গরম ও দাবদাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, মৃত্যুও হয়েছে একজনের। ফলে গরম এড়িয়ে ২-৩ দিনের শর্ট ট্রিপে পাহাড়ে পৌঁছচ্ছেন অনেকেই।
ঠান্ডা আবহাওয়া গায়ে মেখে অন্তত কয়েকটা দিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে প্রতি দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, সান্দাকফু, লাভা, লোলেগাঁও-সহ বিস্তীর্ণ পার্বত্য এলাকায় ভিড় জমছে বলে মত হোটেল মালিকদের।
দার্জিলিং বা কালিম্পংয়ের মতো এলাকায় বড় বড় হোটেলগুলিতে মোটামুটি জায়গা নেই। মূলত ভিড় বেশি দার্জিলিং ও গ্যাংটকেই। তবে সবাই সেখানে জায়গা পাচ্ছেন না।
তাই শহরের হোটেল ছাড়াও বহু ছোট-বড় হোমস্টে-রও চাহিদা তুঙ্গে। গরমে সাইট সিনের বালাই নেই। অনেকেই কোলাহলের বাইরে শুধু হাত-পা ছড়িয়ে দুদিন কাটাতে নিরবিলি হোম-স্টে খুঁজছেন।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কার্যকরী সদস্য পার্থ গুহ বলেন, হোটেলগুলিতে জায়গার জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। আচমকা গরমের জন্য স্থানীয় পর্যটকদের ভিড়। এ সময় তাঁদের হোটেলগুলিতে ৩০-৪০ শতাংশ বুকিং থাকে। এবার সব হাউসফুল।