উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির একটা বড় অংশ নির্ভর করে টি ,টিম্বার ও ট্যুরিজমের ওপর। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সের চা গোটা বিশ্বের কাছে আকর্ষণীয়।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কখনো ভারী বৃষ্টি আবার কখনো রোদ। আর আবহাওয়ার এই ধরনের খামখেয়ালিপনায় বড় ধাক্কার মুখে উত্তরের চা শিল্প। এক ধাক্কায় উৎপাদন কমেছে অনেকটাই।আর এতেই চিন্তিত বাগান মালিক সহ চা বাগান মালিকদের সংগঠনগুলি।
উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম মেরুদণ্ড হল উত্তরের চা শিল্প। এখানকার চা শুধু দেশেই নয়, পাড়ি দিয়েছে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে বিদেশেও। এতে গোটা দেশে তো বটেই বিদেশেও প্রশংসা করিয়েছে উত্তরের চা।
কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রকৃতির রোসে আজ বিধ্বস্তের মুখে চা শিল্প। কখনো রোদ ,মেঘ আবার কখনো বৃষ্টি এতেই প্রকৃতির খামখেয়ালিতে ক্ষতির মুখে চা শিল্প।
টানা বৃষ্টিতে বাগানে জল জমে কোথাও গাছ নষ্ট হচ্ছে। আবার বৃষ্টির কারনে পোকামাকড়েরও উপদ্রব অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু চা বাগানে চা উৎপাদনে নিয়মনীতির বেড়াজালে জড়িয়ে পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারছে না।
ফলে তরাই ও ডুয়ার্স এলাকার অধিকাংশ চা বাগানের পাতাগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই তরাই এবং ডুয়ার্স এলাকায় বছরের এই সময় যে পরিমাণ চা উৎপাদন হয় তার অনেকটাই কমে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে ডুয়ার্সে ইতিমধ্যে উৎপাদন কমেছে প্রায় ২১ থেকে ২২ শতাংশ অন্যদিকে তরাই এলাকায় এই উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৯ থেকে ২০ শতাংশ। আর এতেই মাথায় হাত এখন চা বাগান মালিকদের।
চা বাগান ম্যানেজার জ্ঞান প্রকাশ দীক্ষিত বলেন, উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাগানের আয় অনকেটাই কমেছে। কিন্তু ব্যয় একই রয়েছে, তার ওপর সামনের পুজোর মৌসুমে শ্রমিকদের বোনাস দিতে সমস্যায় পড়তে হবে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।
অন্যদিকে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ তরাই ও ডুয়ার্স শাখার সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, পুরো উত্তরবঙ্গে মোট ২৭৬টি বড় চা বাগান রয়েছে তার মধ্যে অনেক চা বাগানের পরিস্থিতি খুব খারাপ। এমনিতেই প্রবল বৃষ্টিতে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে প্রচুর চা বাগান। তার ওপর কখনও রোদ আবার কখনও ভারী বৃষ্টিতে চা পাতার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।