ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে মেলেনি ভ্যাকসিন। ফলে আচমকা ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন তারা। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে যেভাবে ভ্যাকসিনের জোগান আসছে সেইভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের সহকারী ডিন জগদীশ বিশ্বাস।
করোনার সংক্রমণ রোধে একমাত্র ভ্যাকসিনের ওপরই আস্থা রেখেছে বিশেষজ্ঞ মহল। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার প্রথমদিকে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত কয়েক দিনে কিছুটা সংক্রমণ কমেছে। তা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন জোর দিয়েছে সরকার।
তবে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতিনিয়ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর লেগেই রয়েছে। একইভাবে এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে টিকা নিতে গিয়েও ভ্যাকসিন না থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষ। তবে সেদিন মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার টিকা দেওয়া হবে।
সেই মত এদিন ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয় টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয় অনেকে আবার নিজে না দাঁড়িয়ে ইট বা পাথর দিয়ে লাইন দেন ভোর থেকে।
একই ভাবে এদিন লাইন দিয়ে থাকার পরেও ভ্যাকসিন না মেলায় ক্ষোভে ফেঁটে পরে ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা। অভিযোগ, ক্রমশ এভাবেই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আসা সাধারণ মানুষদের।
এদিন টিকা নিতে আসা নিবাস রুদ্র বলেন, "মঙ্গলবার আসার পর বৃহস্পতিবার আসতে বলা হয়, আজ এসেই দেখছি ভ্যাকসিন নেই। এভাবেই হয়রানি হতে হচ্ছে।" রঞ্জন রায় জানান, " মঙ্গলবার আমাদের বলা হয়েছিল বৃহস্পতিবার আসতে তবে, এসে দেখছি ভ্যাকসিন নেই।"
অন্যদিকে বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী ডিন জগদীশ বিশ্বাস জানান, "কেন্দ্রীয় সরকার থেকে যেভাবে ভ্যাকসিনের জোগান আসছে সেইভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের জোগান সঠিকভাবে না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে পর্যাপ্ত মানুষ না হওয়ায় ভ্যাকসিনের ফাইল খোলা হচ্ছে না। এখন ভ্যাকসিন নিতে মানুষের ভিড় বাড়ছে বলে তিনি জানান।"