টালবাহানার জেরে আটকে রয়েছে রাজ্য সরকারের ট্যুর অপারেটর,হোমস্টে মালিকদের উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ। ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণের প্রচার করা হলেও এখনও পর্যন্ত কেন প্রশিক্ষণ শুরু করা গেল না, এর উত্তর নেই কোনও আধিকারিকের কাছেই।
এদিকে উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ নিতে দুর্গম বক্সা পাহাড়ের লেপচাখা, আদমা, চুনাভাটি থেকে হোমস্টের মালিকরা জেলা সদরের প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় এসে একাধিক বার ঘুরে গেলেও কবে উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ শুরু হবে সেই বিষয়ে পর্যন্ত কোন তথ্য নেই উৎকর্ষ বাংলার আধিকারিকদের কাছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ এখনও অব্যাহত।যদিও আগের তুলনায় করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র গুলো। তবুও পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি এই করোনা কালে হোমষ্টে, লজ, রিসর্ট, হোটেল মালিক,ট্যুরিস্ট গাইডদের করোনা নিয়মবিধি মানতে উৎকর্ষ বাংলার থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর ও উৎকর্ষ বাংলা।
অন্যদিকে পর্যটকদের সাথে একজন হোমষ্টে বা হোটেল, রিসর্ট মালিকদের ব্যবহার, রুম সার্ভিস,হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের জন্য এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকারের দুই দপ্তর। এদিকে এই ট্রেনিংয়ের জন্য জেলার মোট ২১৬ জনের নাম বাছাই করেছে উৎকর্ষ বাংলা।এই ২১৬ জনের মধ্যে ১০৬ জন হোমষ্টের মালিক ৮০ জন ট্যুরিস্ট গাইড ৩০ জন ট্যুর অপারেটর।
আলিপুরদুয়ার জেলা উৎকর্ষ বাংলার আধিকারিক সুদীপ্ত দাস জানিয়েছেন ট্রেনিং নেওয়া হবে। কিন্তু কবে নেওয়া হবে তার কোন নির্দেশ আমরা পাইনি।রাজ্যের নির্দেশ এলেই ট্রেনিং শুরু করা হবে।কী কারণে এখনও নির্দেশ আসেনি তা বলতে পারবো না। আলিপুরদুয়ার জেলা ট্যুর আ্যশোশিয়েশনের মুখপাত্র তমাল গোস্বামী বলেন কোন অজ্ঞাত কারণে এই ট্রেনিং বন্ধ আছে। আমরা সমস্ত ট্যুর অপারেটর, গাইড, হোটেল, রিসর্টের মালিকদের নাম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছে। আমাদের তরফে সব কিছু প্রস্তুত আছে।