ভিস্তাডোম এখন সপ্তাহে সাতদিনই, বিপুল চাহিদা সামাল দিতে সিদ্ধান্ত রেলের

চাহিদা তুঙ্গে। তবু পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না রেল। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের চাহিদা পূরনে এবার থেকে সপ্তাহে সাত দিনই রেলের  বিলাসবহুল ভিস্তাডোম কোচ চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কর্তারা।
 

ট্যুরিস্ট স্পেশাল এই ট্রেনটির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ট্যুরিস্ট স্পেশাল এই ট্রেনটিতে অতিরিক্ত একটি ভিস্তাডোম কোচ লাগানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে রেলের আধিকারিকরা।

এ ছাড়াও পূজোর আগে রেলযাত্রীদের জন্য আরেকটি সুখবর দিয়েছে রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম  দিলীপ কুমার সিং। বুধবার তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর থেকেই নিউ কোচবিহার ও নিউজলপাইগুড়ির মধ্যে ডাবল লাইনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

ফলে ডাবল লাইনে আগের তুলনায় অনেকটাই কম সময়ে আলিপুরদুয়ার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে যেতে পারবেন রেল যাত্রীরা। পাশাপাশি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্ভুক্ত আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সীমানার মধ্যেই রয়েছে প্রায় উত্তরবঙ্গের অর্ধেক অংশ। প্রতিবেশী রাজ্যে অসমের কয়েকটি স্টেশন।ফলে দুই রাজ্যের মধ্যেও ট্রেন চলাচলে অনেকটাই গতি আসবে।

বুধবার আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার শিং বলেন,পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই আমরা ভিস্তাডোম নিয়ে পরিকল্পনা নিয়েছি। যদি দেখা যায় পুজোর আগে বা পরে বর্তমান পরিস্থিতির মতোই পর্যটকদের কাছে ভিস্তাডোমের  টিকিটের চাহিদা রয়েছে, সেক্ষেত্রে আমরা সপ্তাহে প্রতিদিন ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন চালাব। বর্তমানে সেই ট্রেন সপ্তাহে তিনদিন চলছে।

পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ভিস্তাডোমের  কোচ জুড়ে দেবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।ডাবল লাইনের বিষয় নিয়ে ডিআরএম বলেন,আমাদের কাজ সম্পন্ন। আশাবাদী ১০ অক্টোবর থেকে পুরোপুরি সক্রিয় হবে নিউকোচবিহার নিউজলপাইগুড়ি ডাবল লাইন।

এদিকে,অসমের বঙ্গাইগাঁও থেকে নিউজলপাইগুড়ির মাঝে ডাবল লাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ প্রায় শেষের পথে বলে জানা গিয়েছে। রেল কর্তারা বলেন, শুধুমাত্র ব্যবসায়িক বৃদ্ধির হারে গোটা দেশের মধ্যে আলিপুরদুয়ার ডিভিশন এক নম্বরে উঠে এসেছে। যা কোভিভ পরিস্থিতিতেও আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের একটি বড় সাফল্য।

স্থানীয় কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে একগুচ্ছ নতুন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এবার আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত ২১ টি স্টেশনে স্থানীয় দের ব্যবসার সুয়োগ করে দিতে বহুমুখী স্টল খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। শুধু খাদ্যদ্রব্য নয়,স্টলগুলি থেকে স্থানীয় হস্তশিল্পের সামগ্রী বিক্রির জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে।যাতে আলিপুরদুয়ারে কৃষ্টি সংস্কৃতি উঠে আসে। পর্যটকদের কাছেও স্টলগুলি আকর্ষণীয় হতে পারে।

সপ্তাহে সাতদিন ভিস্তাডোম চালানোর খবরে খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ী মহলে। হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের কো-অর্ডিনেটর সম্রাট স্যানাল বলেন পর্যটনের জন্য এর থেকে খুশির খবর কিছু হয়না। ভিস্তাডোমের চাহিদা প্রবল। তিন মাসের আগের বুকিং হয়ে যাচ্ছে।সপ্তাহে সাতদিন এই ট্রেন চললে ডুয়ার্সের ট্যুরিজম শিল্প অনেক এগিয়ে যাবে।