
পুজো আসতে আর বেশি দিন নেই। তার মধ্যে দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে ওঁদের।

প্রায় দুই বছর তাঁরা তেমন কোথাও যেতে পারিনি। বাড়িতে সংসারের হাল ভাল নয়।

অভাব-অনটন লেগে রয়েছে। তবে এর মাঝেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন ওঁরা।

বাড়ি বসে অন্য কাজ ধরেছেন অনেকে।

অনেকে আবার জনমজুরি কাজ করে পেটের খিদে মিটিয়েছেন।

অতীতের কথা বলতেই তাদের চোখ চিকচিক করে ওঠে।

কী না সময় ছিল সে সব। যেন সোনাঝরা দিন।

মুম্বই, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, হায়দরাবাদ হোক বা কলকাতা কোনও জায়গায় বাদ নেই।

চিত্রতারকর বাড়ি হোক কিংবা গায়কের বাড়ি তাঁরা প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোতে ঢাক বাজাতে যেতেন।

ভালই উপার্জন হত। সে রানি মুখার্জি থেকে কাজল, অভিজিৎ থেকে বাবুল সুপ্রিয়- সবার বাড়িতে ঢাক বাজালেও করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের অবস্থা বেসামাল।

তার থেকেও বড় কথা কত মানুষের সঙ্গে দেখা হত, কথা হত। সবাই তাঁদের কদর বুঝতেন। তাঁদের বাজনার তারিফ করতেন। বাদ গিয়েছে সে সব।

স্থানীয় কিংবা শেষ মুহূর্তে অন্তত কাছে পিঠে ঢাকের বায়না হয় কিনা সেই দিকে তাকিয়ে আছেন।

বর্তমানে লোকের হাতে যেমন টাকা নেই তেমনই প্রায় সমস্ত পুজোগুলি ছোট করে নিয়ম রক্ষা করতে পুজো করছে।

নেই তেমন আড়ম্বর। ফলে ঢাকিদের পারিশ্রমিক কমেছে। আবার অনেকে পুজো কমিটি ঢাকির সংখ্যায় কমিয়েছে।

ফলে জর্জরিত অবস্থায় নদিয়ার রানাঘাট এবং তার পার্শ্ববর্তী ঢাকিদের অবস্থা।

করোনা গত দেড় বছরে তছনছ করে দিয়েছে সব। শিক্ষা থেকে ব্যবসা- সব যেন থেমে গিয়েছে।

উৎসব এলেও মানুষের চিন্তার শেষ নেই। তবে এর মাঝেও বাংলা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।

ছোট করে হলেও আয়োজন করা হচ্ছে পুজোর। করোনা বিধি মেনেই সব হবে।

তবে করোনাকে কোনও ভাবেই জিততে দেওয়া যায় না। সেই আশায় বুক বেঁধেছে বাংলা।

সব স্বাভাবিক হবেই। সব আগের মতো হয়ে যাবে।

তারপর আবার ঢাক দিয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেবে বাংলার ঢাকিরা। এখন একটু অপেক্ষা।