দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল রাস্তা। যেতে আসতে ঠোক্কর খেতে হয়। সাইকেল-বাইক নিয়ে আছাড় খাওয়া তো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
বর্ষাকালে রাস্তার খানাখন্দে জল জমে থাকলে গর্ত গতটা গভীর কিছুই বোঝা যায় না। পাঁচ থেকে দশ বছরের বাচ্চারা প্রায়ই পুকুরডুবি হয় গর্তে পড়ে।
ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত, এমনকী মহকুমা পরিষদে অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন কাওয়াখালি থেকে দুর্গামন্দির পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা নিয়েই যত সমস্যা।
শুক্রবার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এশিয়ান হাইওয়ে, জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কাওয়াখালি এলাকার বাসিন্দারা।
এদিন এলাকায় গিয়ে দেখায় যায়, ভাঙা রাস্তা, তার সঙ্গে জল জমে আক্ষরিক অর্থেই চাষের খেতের চেহারা নিয়েছে এলাকা। রাস্তা ও পাশের মাঠে কোনও পার্থক্য় নেই।
সেই পরিস্থিতি প্রশাসনের সামনে তুলে ধরতে তারা রাস্তায় ধান গাছ পুঁতে বিক্ষোভ প্রকাশ করাকেই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন বাসিন্দারা।
খানা খন্দে ভরা এই রাস্তাটি শেষবার গত ২০১৮ সালে সংষ্কারের কাজ শুরু হয়েছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকার প্রোজেক্টে।
কিন্তু সংস্কারের কাজ শুরু হলেও পরে তা অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনের সর্বস্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফের ওই রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করা যায়নি।
কেন করা যাচ্ছে না , তা নিয়ে নানা রকম অজুহাত সামনে এলেও, আসল কারণ কি তা জানতে পারেনি বাসিন্দারা। কাজ শুরু হয়েও কীভাবে অর্ধসমাপ্ত থেকে যায় তা বুতে পারছেন না তাঁরা।
ফলে শেষমেষ রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে বিক্ষোভের জেরে ৩০ মিনিটের বেশি ধরে জাতীয় সড়ক বন্ধ চলে বিক্ষোভ। এর জেরে রাস্তার দুধারে জ্যাম লেগে যায়।