ওয়ার্ক ফ্রম হোম এখন অনেক কর্পোরেট সংস্থার স্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। অফিস নেই, দৌড়ঝাঁপ নেই ঘরে বসে শুধু কাজটুকু করে দিলেই হল। তবু কাঁহাতক দিনের পর দিন ঘরে বসে কাজ করা যায়। একঘেঁয়ে জীবন থেকে মুক্তি চায় শরীর। কিন্তু উপায় কী? ছুটি নেই।
কিন্তু এবার ছুটি ছাড়াই ইচ্ছেমতো ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের কয়েকটি জায়গায়। সামান্য খরচেই। সঙ্গে অফিসের ল্যাপটপ আর স্টেডি ইন্টারনেট থাকলে ঘুরতে গিয়েই কাজ করুন নিশ্চিন্তে আর টপাটপ অর্ডার করুন ইচ্ছেমতো খানা।
দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি এমন হোটেল রয়েছে যেখানে রয়েছে স্টেডি ইন্টারনেট। আর সামান্য রুম ভাড়া। তাঁরা পর্যটক আকর্ষণের জন্য রেখেছেন ওয়ার্ক ফ্রম হিল-এর সুযোগ।
হোটেল টাওয়ার ভিউ এমনই একটি হোটেল। ম্যাল-চৌরাস্তা থেকে হাঁটা পথ। যেখানে এক রাত ডাবল-বেড রুমে থাকার খরচ মাত্র ৬৫৬ টাকা। খাওয়া দাওয়া আপনার ইচ্ছে। হোটেল থেকেও খেতে পারেন, না-ও খেতে পারেন।
দার্জিলিংয়েরই আরেকটি হোটেল ডেজং রিট্রিট। এখানে থাকার খরচ আরও কম। এক রাতের ডাবল বেডের ভাড়া ৬১৯ টাকা। ম্যাল রোডের ঠিক পাশেই এই হোটেলটি রয়েছে। দিনভর কাজ করে সন্ধ্যায় বা ব্রেক নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন।
দার্জিলিং এসপি অফিস এবং রাজভবনের কাছে হ্যাপি ভ্যালি হোম স্টেতে রাতে থাকার খরচ মাত্র ৮১৯ টাকা। এখানে ব্রেকফাস্ট সঙ্গে পেয়ে যাবেন। বাকি খাবারের জন্য খরচ করতে হবে।
আর একটি ওয়ার্ক ফ্রম হিল সুযোগ পাবেন রিট্রিট হোটেল সামদেনে। এটি দার্জিলিং রেল স্টেশনের কাছে রয়েছে। মাত্র ৬৮০ টাকায় এক রাতে থাকতে পারবেন। আর এখান থেকেই টয়ট্রেনের আওয়াজ দিনে একাধিকবার মন ভাল করে দেবে। চট করে চাইলে ঘুরেও আসতে পারেন।
দার্জিলিংয়ের আরও একটি এমন হোটেল শেরপা ব্রাদার্স। শহরের রকভিল রোডের এই হোটেলটি একটু বেশি ৯২৮ টাকা প্রতি রাতে ডাবল বেড রুমের জন্য ভাড়া নেয়। সেই সঙ্গে অসাধারণ আতিথেয়তা ও ভিউ একদম ফ্রি।
কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে তেন্দ্রাবং নামের ছোট্ট লেপচা গ্রামেও এমন ওয়ার্ক ফ্রম হিল সুযোগ রয়েছে। তেন্দ্রাবংয়ে গেলে দেখা মেলে রঙ বেরঙের অর্কিড ও আরও নাম না জানা পাহাড়ি ফুলের। আর সৌন্দর্য নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
এখানে জনপ্রতি হিসেবে খরচ ১৩০০ টাকা করে প্রতিদিন। তবে এর মধ্যে চারবেলা খাওয়া দাওয়া ধরা আছে। যেহেতু এখানে আসপাশে আপনি তেমন কোনও বিকল্প রেস্তোরাঁ পাবেন না। তবে খরচ একটু বেশি হলেও ঠকবেন না।
এর আগে লকডাউনে পর্যটক টানতে উত্তরবঙ্গে প্রথম ওয়ার্ক ফ্রম জঙ্গল চালু করেছিল চিলাপাতার একটি রিসর্ট। সেখানে জঙ্গলের ভিতর হাত-পা ছড়িয়ে দিব্যি কয়েকদিন কাটিয়ে আসা যাচ্ছিল। তা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে আরও কয়েকটি রিসর্ট-হোটেল এমন পদ্ধতি চালু করে।