উত্তরবঙ্গে এখন দু-রকম আবহাওয়া। সমতল যেখানে আর্দ্রতা আর গরমে নাজেহাল, সেখানে পাহাড়ে যেন শীতের আমেজ। ফলে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ এখন হিমালয়মুখী।
সোমবার দিনভর রোদের তাপ আর বাতাসে জলীয় বাষ্প ঘাম ঝরিয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গের। মাঝে মধ্যে পূব আকাশে মেঘ দেখা গেলেও মরিচিকার মতোই তা মিলিয়ে গিয়েছে বারবার। একটু বৃষ্টি চাইলেও তা মিলছে কই?
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া? আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট মঙ্গলবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হিমালয় সংলগ্ন চার জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি,কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কোথায় বৃষ্টি হবে, আর কোথায় হবে না তা নির্দিষ্ট করে বলা যেমন মুশকিল, তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে বৃষ্টিপাত তেমন হবে না।
তবে আগামী দিন কয়েক উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা গড়ে ৩১ ডিগ্রি থাকলেও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে যেন ৩৭-৩৮ ডিগ্রি।
আরও তাপমাত্রা বাড়লে কী পরিস্থিতি হতে পারে, তা ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না তুলনামূলক আরামদায়ক আবহাওয়ায় অভ্যস্ত উত্তরবঙ্গবাসী।
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ প্রায় ৮৫ শতাংশ। ফলে অস্বস্তিও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। যে কারণে তিষ্ঠোতে পারা যাচ্ছে না কোনওভাবেই। হাঁসফাঁস গোটা উত্তর।
উত্তরবঙ্গের দক্ষিণাংশের জেলা মালদা, দুই দিনাজপুরে চাষাবাদ বেশি হয়। জুন মাসে যাঁরা ধান-পাট লাগিয়ে ফেলেছিলেন, তাঁরা কিছুটা চাষ করতে পারলেও যাঁরা বর্ষাকালীন চাষের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাঁদের মাথায় হাত।
অন্যদিকে শিলিগুড়িতে যেখানে নাভিশ্বাস উঠছে, সেখানে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরে কার্শিয়াং থেকেই বদলে গিয়েছে আবহাওয়া। পাহাড়ে গেলে মনে হবে যেন শীত পড়ে গিয়েছে।