লকডাউনে অবস্থান বিক্ষোভ করে শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ৩ বিজেপি বিধায়ক

রবিবার শিলিগুড়ির হাসমিচকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। পুলিশি অনুরোধেও তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় শেষমেষ শিলিগুড়ি থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

Advertisement
লকডাউনে অবস্থানে বসে গ্রেফতার ৩ বিজেপি বিধায়কধরণায় বসে বিজেপি বিধায়করা
হাইলাইটস
  • হাসমিচকে অবস্থানে বসেন বিজেপি বিধায়করা
  • পরাজিত প্রশাসক দিয়ে কোনও উন্নতি হয়নি
  • বারবার গ্রেফতার হবেন, হুঁশিয়ারি বিধায়কদের

রাজ্য়ে কার্যত লক ডাউন রাজ্যে। তার মধ্যে নিজেদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশি রোষের মুখে পড়লেন শিলিগুড়িত তিন বিজেপি বিধায়ক। 

আইন ভাঙলেন কোন বিধায়ক?

রবিবার শিলিগুড়ির হাসমিচকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। পুলিশি অনুরোধেও তাঁরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় শেষমেষ শিলিগুড়ি থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

কেন আইন ভাঙলেন বিধায়করা?

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের অব্যবস্থার ফলে করোনায় সংক্রমিতদের মৃত্যু, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে সরকারি বৈঠকে পরাজিত প্রার্থীদের বসানো এবং কোনও সরকারি বৈঠকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের না ডাকার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেছিলেন শিলিগুড়ি ও শিলিগুড়ি মহকুমার তিন বিজেপি বিধায়ক।

পুলিশি পদক্ষেপ

শিলিগুড়ির সফদর হাসমি চকে রাস্তায় ধরণায় বসেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। তারা ধর্নায় বসতেই শিলিগুড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকদের পাশাপাশি কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা হাসমি চকে উপস্থিত হন। পুলিশ আধিকারিকদের তরফ থেকে বিধায়কদের ধরণা প্রত্যাহার করার একাধিকবার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু ধরণা প্রত্যাহার না করায় শেষমেষ তিন বিধায়ককে বিপর্যয় মোকাবিলা ধারা লঙ্ঘণ করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। 

শঙ্কর ঘোষের দাবি

শঙ্কর ঘোষ বলেন, "নির্বাচিত বিধায়করা নিজেদের বিধানসভার মানুষদের কথা বলতে রাস্তায় বসতে হয়। আর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে পরাজিত প্রার্থীদের রাজ্য সরকার সরকারি বোর্ডে বসায় ৷ কিন্তু তাতে করোনা পরিস্থিতির এতটুকুও উন্নতি হয়নি। আর ধরণা করতে গেলে পুলিশ বিধায়কদের গ্রেপ্তার করে।"

শিখা চ্যাটার্জির দাবি

বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি বলেন, "মানুষদের কথা বলতে গেলে যদি আমাদের গ্রেপ্তারও হতে হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। বারবার গ্রেপ্তার হতে প্রস্তুত আমরা।"

আনন্দ বর্মনের দাবি

মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, "রাজ্য সরকারের অব্যবস্থার কারণে করোনায় মানু্ষের মৃত্যু হচ্ছে। আর আমরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ উল্টে আমাদেরই গ্রেপ্তার করছে।"

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement