রাজ্যের চার পুরসভার নির্বাচন আগামী ২২ জানুয়ারি। এর মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচন। ইতিমধ্যে জোর কদমে শুরু হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। এবার পুরনিগমের মোট ভোটার ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লক্ষ ৩ হাজার ৯৮০ জন এবং মহিলা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৯৯ জন। পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ১৮ জন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা। এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনে মোট ভোটগ্রহন কেন্দ্র রয়েছে ৫০২ টি। তবে এই কেন্দ্রের ১৭ শতাংশ কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যে সমস্ত ভোটগ্রহন কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেইসব ভোটগ্রহন কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ স্পর্শকাতর বুথগুলিতে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি ওয়েবকাস্টিং, ভিডিওগ্রাফি এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি পৌরনিগম নির্বাচনের ৪৭ টি ওয়ার্ডের জন্য ৫০২ টি মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৮২ টি ভোটগ্রহন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজকে ডিসিআরসি হিসেবে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনের মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৮৯ টি ভোটগ্রহন কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে ১, ২, ১৭, ২২, ২৫ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি করে, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আটটি, ৯ ও ২৮ নম্বরে ছয়টি করে, ৬, ১০, ১৩, ১৯, ২০, ২১, ৩১, ৩২, ও ৩৩ নম্বরে একটি করে, ৭ ও ৮ নম্বরে পাঁচটি করে, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, ৪০ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি করে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে সমরনগর, চম্পাসারি, বাঘাযতীন কলোনি, প্রধাননগর, রাজেন্দ্রনগর, ডাঙ্গিপাড়া, খালপাড়া, জ্যোতিনগর, টুমলপাড়া, সন্তোষীনগর, নুতনপাড়া, মিলনপল্লি, দেশবন্ধুপাড়া, বাবুপাড়া, টিকিয়াপাড়া, লিচুবাগান, কলেজপাড়া, রবীন্দ্রনগর, রথখোলা ও পাঞ্জাবীপাড়ার একাংশ চিহ্নিত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনের সময় সুষ্ঠভাবে ভোট পরিচালনায় অশান্তি বা সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে পারে এমন ৩২ জনকে চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সঞ্জয় পাঠক ও কানহাইয়া পোদ্দার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহম্মদ বুল্লা, মহম্মদ শাহরুখ, কালীপদ রায়, ধর্মেন্দ্র সিং ও ভুট্টা সরকার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিকাশ বিশ্বাস, মহানন্দ মন্ডল, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহম্মদ জাহাঙ্গীর, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দু রায়, বিভাস ঘোষ, পাপু সিং, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কানন দাস, সুরজিৎ বিশ্বাস, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে অনিল পাসওয়ান, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে উপেন্দ্র পাসওয়ান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তম বিশ্বাস,
২২ নম্বর ওয়ার্ডে ছোটা ভীম ও উত্তম বিশ্বাস, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তাপস রায় ও সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের উজ্জ্বল দাস, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গনেশ বর্মন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সায়ন মিত্র, মহম্মদ বিট্টু, প্রদীপ দাস, উপেন্দ্র পাসওয়ান, তাপস মজুমদার, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডোমা বিন, অনিল পাসওয়ান, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের সমীর রাহা, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যারেটো রয়েছে।