ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো পয়েন্টের ওপারে ভুটান পাহাড়। এপারে ভারতের ডারাগাঁও পাহাড়। সীমান্ত শহর জয়গাঁর ডারাগাঁও পাহাড়ে দীপাবলির পরেই খুলে যাচ্ছে পর্যটকদের রাতে থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের তৈরি নয়টি কটেজ।
৯৮ লাখের কটেজ
পর্যটকদের রাত্রিবাসের ওই নয়টি কটেজ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৯৮ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসন ওই নয়টি কটেজ তৈরি করে ইতিমধ্যে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (জেডিএ) হাতে তুলে দিয়েছে। জেডিএ কর্তৃপক্ষই ওই কটেজগুলির দেখভাল করবে। ডারাগাঁও পাহাড়ের উপর নির্মিত ওই নয়টি কটেজের প্রতিটিই ডবল বেডের কটেজ। দেশবিদেশের পর্যটকরা জয়গাঁ ও ভুটানের ফুন্টশোলিংয়ে বেড়াতে এলে ডারাগাঁও পাহাড়ে জেডিএ’র এই কটেজগুলিতে স্বল্পমূল্যে রাত কাটাত পারবেন বলে জানা গিয়েছে। জেলার পর্যটন সার্কিট প্রসারের লক্ষ্যেই ওই কটেজগুলি তৈরি করা হয়েছিল।
কালীপুজার পর ওই কটেজগুলি খুলে দেওয়া হবে
তবে কর্মীর অভাব থাকায় জেডিএ’র পক্ষে এই কটেজগুলির দায়িত্ব সামলানো অসম্ভব। সেই জন্য জেডিএ কর্তৃপক্ষ একটি বেসরকারি এজেন্সিকে এই কটেজগুলি লিজ দিচ্ছে। বেসরকারি এজেন্সীকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কালী পুজোর পরেই টেন্ডার ডাকছে জেডিএ। জেডিএ’র চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ডারাগাঁও পাহাড়ে পর্যটকদের জন্য এই কটেজগুলি বানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন জেডিএ’র হাতে তুলে দিয়েছে কটেজগুলি। কিন্তু জেডিএ’তে কর্মীর অভাব থাকায় আপাতত ওই কটেজগুলি বেসরকারি কোন এজেন্সিকে লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার জন্য কালী পুজোর পর টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই কালীপুজার পর ওই কটেজগুলি খুলে দেওয়া হবে।
রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে
দুই পাহাড়ের মাঝে জিরো পয়েন্টে ওই কটেজগুলিতে রাত্রিবাসের ভাড়া কত হবে বেসরকারি এজেন্সিকে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই তা ঠিক করা হবে। প্রতিটি কটেজই ডবল রুমের। সমতল জয়গাঁ শহর থেকে ডারাগাঁও পাহাড়ের উপর ওই কটেজগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকা রাস্তাও বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা কটেজের বারান্দায় বসইে পাশাপাশি দুই দেশের দুই পাহাড়ের নীল আকাশ, জঙ্গল ও প্রকৃতির নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
জেলার পর্যটনে জোয়ার আসবে
জেডিএ’র এগজিকিউটিভ অফিসার ভূষণ শেরপা বলেন, সাতটি কটেজ তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকার মতো। কটেজগুলি লিজ দেওয়ার জন্য কালীপুজোর পরেই সরকারিভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জেলার পর্যটন মহলের দাবি, জেডিএ’র ওই কটেজগুলি খুলে গেলে জেলার পর্যটন শিল্প আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। জয়গাঁয় গিয়ে পর্যটকদের আগের মতো রাতে থাকারও আর কোন সমস্যা হবে না।