ডুয়ার্সে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার এলাকায়। অন্ধকারে রাস্তা পারাপার করছিল চিতাবাঘটি বলে বন দফতরের ধারণা। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনায় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। রাতে জঙ্গলের মধ্যে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলির পরের দিন বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ, ভারতে কখন?
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতের কোনও এক সময়। আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার ডিমডিমা এলাকায় ৩১ নং জাতীয় সড়কের ঘটনা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতের দিকে কোনও দ্রুত গতির গাড়ির ধাক্কায় চিতাবাঘটি মারা গিয়েছে। আঘাতের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দুর্ঘটনার পর চিতাবাঘটি আর রাস্তা থেকে নড়তে পারেনি। সেখানে পড়ে থাকে।
বনদফতরের দাবি, এটি একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। বন দফতরের অনুমান এটি রাস্তা পারাপার করছিল। ওই এলাকায় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাতে লোকালয়ে ছাগল, হাঁস, মুরগি তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। সম্ভবত সে কারণেই লোকালয়ের দিকে আসের চেষ্টা করছিল। রাতে জঙ্গলে দুষ্কৃতীর ভয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলে। সে সময়ে লেপার্ডটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় গাড়িটি। শুক্রবার ঘটনাস্থলে বনদফতরের দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা পৌছে লেপার্ডের মৃতদেহ উদ্ধার করে। গাড়িটির খোঁজ শুরু হয়েছে। ধরা পড়লে গাড়িচালক ও মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এখনও জনশ্রুতির টানে ভিড় জমে দেবী চৌধুরানী মন্দিরের কালীপুজোয়
মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে। কখনও জ্যান্ত কখনও মৃত চিতাবাঘ উদ্ধার হয় চা বাগান এলাকাগুলি থেকে। দুদিন আগেও কাছেই একটি এলাকা থেকে চিতাবাঘের কয়েকটি শাবগক উদ্ধার হয়েছিল। এছাড়া ২০২০ সালের একটি পূর্ণবয়স্ক লেপার্ডের মৃতদেহ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আলিপুরদুয়ার জেলার তাসাটি চা বাগানে। রাতে এলাকাগুলি শুনসান থাকে। গাড়ি চললেও তা চলে ঝড়ের গতিতে। এখন এই গাড়িগুলির গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছে স্থানীয় ও বন্যপ্রাণপ্রেমীদের তরফে। শুধু বাঘ-হরিণ নয়, রাতে মানুষেরও বিপদ-আপদে চলাচল মানে প্রাণ হাতে করে যাতায়াত হয়ে উঠেছে।