১১ বছর পর চালু হয়েও আজব কারণে বন্ধ হল শিলিগুড়ি-দার্জিলিং প্রাইভেট বাস পরিষেবা

পাহাড়ে পার্কিং-এর জায়গা নেই। তাই যাত্রী উঠতে পারছেন না। ফলে সমস্যায় পড়ে বন্ধ হয়ে গেল বাস। এমন আজব কান্ড-কারখানা চলছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে। প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথ।

Advertisement
১১ বছর পর চালু হয়েও আজব কারণে বন্ধ হল শিলিগুড়ি-দার্জিলিং প্রাইভেট বাস পরিষেবাবন্ধ বাস পরিষেবা
হাইলাইটস
  • ১১ বছর আগে ধসের কারণে বন্ধ হয়েছিল বাস
  • ২ মাস আগে ফের শুরু হয় বাস চলাচল
  • পার্কিং এর অভাবে বন্ধ হল পরিষেবা

১১ বছর আগে এক সময়ে শিলিগুড়ি ) থেকে দার্জিলিং বেসরকারি বাস পরিষেবা চলত। এরপর তা বন্ধ হয়ে যায় ধসের কারণে। দীর্ঘ ১১ বছর পর মাত্র দু'মাস আগে ফের শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হয় কিন্তু দু'মাসের মধ্যেই তা ফের বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন বাস মালিকরা। কারণ যাত্রীসংখ্যা অপ্রতুলতা।

কেন যাত্রী হচ্ছে না? 

পাহাড়ে পার্কিং-এর জায়গা নেই। তাই যাত্রী উঠতে পারছেন না। ফলে সমস্যায় পড়ে বন্ধ হয়ে গেল বাস। এমন আজব কান্ড-কারখানা চলছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে। প্রশাসন বসে রয়েছে ঠুঁটো জগন্নাথের মতো।

ফিরতি পথে যাত্রী নেই

কারণ হলো পাহাড়ে পার্কিংয়ের জায়গা মিলছে না তাই বাস চালাতে অসুবিধা শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সময় যাত্রী পাওয়া গেলেও পাহাড়ে দাঁড়ানোর জায়গা না পাওয়ায় ফিরতি পথে সেখান থেকে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না পাহাড়ের মানুষকে ওঠার জন্য কোন একটা নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড বা জায়গা দিতে তো হবে নইলে মানুষ কী করে সে বাসে উঠবেন আগে দার্জিলিং সুপার মার্কেট বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি বাস পার্কিং এর ব্যবস্থা ছিল কিন্তু এখন সেখানে লোকাল বাস সরকারি বাস দাঁড়ায় ফলে বেসরকারি বাস দাঁড়ানোর জায়গা নেই

কি বলছে আরটিও

তবে দার্জিলিংয়ের আরটিও অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বাস পার্কিং এর জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। দার্জিলিং গভর্নমেন্ট স্কুল এর উল্টো দিকে কিছুটা খালি জায়গা রয়েছে। সেখানে পার্কিং করার বা স্থায়ী শিলিগুড়ি বেসরকারিকরণ তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। তবে যতদিন তা না হয় আপাতত বাস চলবে না।

পাগলাঝোরায় ধস নামায় রুটটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল

এক সময় শিলিগুড়ি দার্জিলিং রুটি প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি বাস চলত। ২০১০ নাগাদ পাগলাঝোরায় ব্যাপক ধস নামার পর বাসগুলি কিছুদিন বন্ধ রাখার ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না। কিন্তু পাগলাঝোরা রাতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। যার জেরে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

বাসের রুট বদলে যায়, অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দেন

জানা গিয়েছে ওই সময় বাস মালিকদের একটা বড় অংশ ব্যবসা থেকে চলে যান। অনেকে অন্য রুটে পারমিট করিয়ে তা চালানো শুরু করেন। আবার অনেকে ট্যুরিস্ট বাসের কাজে ব্যবহার করা শুরু করেন। কিন্তু ওই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়নি। ২০১৯ সালের স্পেশাল পারমিট দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আরও কমে যায় বাসের সংখ্যা।

শিলিগুড়ি আসার বাস কোথায় বুঝতে পারেন না মানুষ

লকডাউনের পর দুমাস আগে নতুন করে কয়েকটি বাস ওই রুটে চলাচল শুরু করে। দিনে তিনটি করে বাস যাওয়া এবং আসার জন্য ঠিক হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় অন্য জায়গায়। পাহাড়ে পার্কিংয়ে নির্দিষ্ট কোনও জায়গা না থাকায় শিলিগুড়িগামী বাসস্ট্যান্ড কোনটা লোকে বুঝে উঠতে পারে না। ফলে আসার সময় কোনও রকম যাত্রী মেলে না।

 

POST A COMMENT
Advertisement