scorecardresearch
 

৭ বছর পর খুলল মধু চা বাগান, সব বন্ধ বাগান খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শ্রমমন্ত্রীর

সাত বছর পর খুলে গেল বন্ধ থাকা মধু চা বাগান। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১১ টি অচল বাগান রয়েছে। দ্রুত সেগুলিকে খোলা হবে বলে জানালেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।

Advertisement
বৈঠক বৈঠক
হাইলাইটস
  • সাত বছর পর হাসি ফুটল মধু চা বাগানে
  • সমস্ত বন্ধ বাগান খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাজ্যের
  • এখনও বন্ধ বহু চা বাগান

দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ থাকবার পর শেষ অবধি খুলে গেল আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের বন্ধ মধু চা বাগান।শনিবার শিলিগুড়িতে শ্রমদপ্তরের অফিসে ম্যারাথন বৈঠক চলেছে। শেষ পর্যন্ত বাগানের সব ক'টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে মধু বাগান।

বাগান খোলার খবরে খুশি ৭০০ শ্রমিক

শনিবার শিলিগুড়িতে বাগান খোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবার খবর পেয়ে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে বাগানের ৭০০ র বেশি চা শ্রমিক পরিবারে। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শিল্পকে বিকশিত করতে সব রকমের চেষ্টা করে চলেছেন। আবারও বলছি, আমরা উত্তরবঙ্গে একটিও বন্ধ বাগান থাকবে না। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছি।

এখনও ১১টি অচল বাগান

আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি মিলিয়ে এখনো ১১ টি অচল বাগান রয়েছে। দ্রুত সেগুলিকেও খোলা হবে। মধু চা বাগানের শ্রমিকদের শুভেচ্ছা জানান মন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২৭ ডিসেম্বর বাগান খুলতেই চা শ্রমিকদের ২০১৩ সালের বকেয়া বোনাস দিয়ে দেবেন বলে চুক্তিতে জানিয়েছেন বাগানের নতুন মালিক। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সর্বোচ্চ দর দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির কোম্পানিটি। যাদের আলিপুরদুয়ারে আর একটি চা বাগান রয়েছে।

পরপর ১৪ টি অচল বাগান খুলে দেবে রাজ্য

উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারে এসে শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না দাবি করেন, পরপর ১৪ টি অচল বাগান খুলে দেবে রাজ্য সরকার। এরপরই দেখা যায়, ১০ ডিসেম্বর দার্জিলিং পাহাড়ের কলেজ ভ্যালি খুলেছে। আগামী সোমবার ২০ তারিখ দার্জিলিং পাহাড়ের লং ভিউ বাগান খুলে যাচ্ছে। এরপর ২৭ ডিসেম্বর বড়দিনের মধ্যেই খুলছে মধু চা বাগান। শ্রমমন্ত্রীর ঘোষণার মাত্র ১৮ দিনের মধ্যেই তিনটি বাগান খুলে গেল পরপর। এদিন, কলকাতা থেকে শ্রমমন্ত্রী বলেন, আর ৬ টি বাগান খুব শিগগিরই খুলতে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকরা আর একটু ধৈর্য ধরুন।

Advertisement

জেলায় আরও ৩ টি বাগান বন্ধ থাকলো

মধু চা বাগান খুলে যাওয়ার ফলে জেলায় আর মাত্র ৩ টি বাগান বন্ধ থাকল। দার্জিলিং পাহাড়ের পানিঘাটা, পেশক,ধুতরে ,নর্থ টাকভর,আলিপুরদুয়ার জেলার বান্দাপানি, জলপাইগুড়ি জেলার রেডব্যাঙ্ক,সুরেন্দ্রনগর বাগানগুলি দ্রুত খুলতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলি

এদিন শিলিগুড়িতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি পাসাং লামা। বলেন,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না দুজনকেই ধন্যবাদ চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে। এটা ঠিক মধু বাগান ৭ বছর বন্ধ। তবে চা শ্রমিকরা বাগানটি রক্ষা করেছেন। আশাবাদী দ্রুত শক্তিশালী বাগানে পরিনত হবে মধু।মধু চা বাগানের শ্রমিকদের একাংশ বলেন, বাগান বন্ধ থাকায় প্রচুর শ্রমিক ভিনরাজ্যে,প্রতিবেশী দেশ ভূটানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এবার আর সেই সমস্যা থাকবেনা। চা বিশেষজ্ঞ দের একাংশ বলেন, ৭ বছর বন্ধ থাকবার পরও একটি চা বাগান খুলছে।এটা চা শিল্পের জন্য ইতিবাচক বার্তা।

 

Advertisement