নতুন ক্যামেরা দেখানোর নাম করে এক নাবালিকাকে ফুঁসলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল গাইঘাটায়। ধর্ষণে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে এক নাবালকের বিরুদ্ধে। তাতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গণধর্ষণের সময় স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পাহারা দিচ্ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসতেই পুলিশ দ্রুত ওই অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী ও তাঁর ছেলে সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। নতুন ক্যামেরা দেখানোর নাম করে নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে যান প্রতিবেশী এক যুবক। এই খবর নির্যাতিতার বাবাই অভিযোগে জানিয়েছেন।
ঠিক কী অভিযোগ?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর ফেরেনি। এরপরই সেই নাবালিকার খোঁজে বের হয় তার পরিবারের লোকেরা। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় খোঁজে বেরিয়ে জানতে পারেন, এক যুবক ও এক নাবালক মিলে ধর্ষণ করেছে তার মেয়েকে।
সেই নাবালিকার বাবা দাবি করেছেন, যে ঘরে এই ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে খুব জোরে গান চালানো ছিল মিউজিক সিস্টেমে। যাতে চিৎকারের আওয়াজ বাইরে না আসে। ধর্ষণের সময় ছেলেকে নিয়ে বাড়ির বাইরে পাহারা দিচ্ছিল বিজেপির এক স্থানীয় বুথ সভানেত্রী বলে অভিযোগ। মহিলার স্বামী কেরলে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৪ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বিজেপির তরফে কেউ অইৃপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের পাশে দল দাঁড়াবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আইনি পথেই সমস্ত তদন্ত করবে বলে তাঁদের দাবি। ওই মহিলা বুথ সভানেত্রী নন বলেও দাবি তাঁদের। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে এই সুযোগে বিজেপির দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।
এর আগে বগটুই, হাঁসখালি সহ রাজ্যে একাধিক ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়ে সুর চড়াচ্ছিল বিজেপি। এই ঘটনার পর তাদের দলের কর্মী-সদস্যদের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে দল। তবে পুলিশ- প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে রেখেছে তারা।