ফের গোপন ডেরা থেকে ভিডিও বার্তা প্রকাশ কেএলও চিফ জীবন সিংহের। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই কামতাপুরের মাটিতে পা রাখবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভিডিওকে ঘিরে।রাজ্য ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্য সরকারকে একাধিক বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেএলও প্রধান।
কী বললেন জীবন?
৭ মিনিটের ভিডিও বার্তা জারি করেন কেএলও প্রধান। বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখতে না করা হয়েছে। পাশাপাশি জীবনের হুমকি, যদি কোচ-কামতাপুরের বাসিন্দাদের ওপর আক্রমণ বন্ধ না করা হয় তাহলে ‘রক্তগঙ্গা’ বইবে।
কামতাপুরের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধিকার নেই
ওই ভিডিয়ো বার্তায় জীবন সিংহ বলেন, কোচবিহারের ভারতভূক্তির চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহারকে 'গ' শ্রেণিভুক্ত রাজ্য হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা। তাই পশ্চিবঙ্গ সরকারের কোচ কামতাপুরের উপরে কোনও সাংবিধানিক অধিকার থাকে না। কোচবিহারের মানুষ বৃহত্তর কামতাপুর রাজ্য গঠন করবে। এখানকার মানুষ তার নিজের ভাগ্য নিজেরাই ঠিক করবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তিনি বলেন, "কোচ কামতাপুরের পা দেবেন না। এই মাটির উপরে আমাদের অধিকার আগে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি তার অধিকার কামতাপুরের উপরে চাপিয়ে দেয় তাহলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে।" তাঁর দাবি, বহুদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শাসন সহ্য করে আসছি। আর নয়।
ফের পৃথক রাজ্যের পক্ষে সওয়াল
জীবন এদিন ফের পৃথক রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের দেওয়া উন্নয়নের থেকে পৃথক রাজ্য অনেক ভালো। কামতাপুরের মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যে উন্নয়নের কথায় ভুলে যাবেন না। খাল কেটে কুমির আনবেন না। পাশাপাশি কামতাপুর থেকে বহিরাগত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উত্খাত করার ডাকও দেন তিনি।
জীবন জানান, ৭৫ বছর ধরে কোচ-কামতাপুরের বাসিন্দাদের ওপর অত্যাচার চলছে। তিনি জানান, কামতাপুরের বাসিন্দারা নিজেদের রাজনৈতিক ভাগ্য নিজেরাই গঠন করবে। এই কাজে বাধা দিলে পরিণাম ভয়ানক হবে। প্রয়োজনে লক্ষ লক্ষ জীবন কোচ-কামতাপুরের জন্য বলিদান করা হবে বলেও জানান কেএলও প্রধান।
কামতাপুর রাজ্য গঠনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা দাবি জীবনের
শেষে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানান জীবন। তাঁর দাবি, ‘বিরোধিতা না করে কোচ-কামতাপুর রাজ্য গঠনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে কামতাপুরের জনগণ মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পুষ্পবৃষ্টি করবে।’