শিশুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী জেলা হাসপাতাল
করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে আগাম ব্যবস্থা নেবার কাজ শুরু হচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। শুক্রবার জেলা হাসপাতালের সুপার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে টানা প্রায় ৪ ঘন্টা ম্যারাথন বৈঠক করলেন।
কি কি পদক্ষেপ করা হবে?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের শিশু বিভাগে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্য পৃথক বিভাগ থাকবে। পাশাপাশি এসএনসিইউ বিভাগে নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসিইউ বিভাগে শিশুদের জন্য ৪ টি বেডের ব্যবস্থা করা হবে। এক্কেবারেই নবজাতক শিশুদের মায়েদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড থাকবে।পাশাপাশি শিশুদের চিকিৎসার প্রয়োজনে একাধিক নতুন যন্ত্রপাতি আনা হবে। শিশু চিকিৎসকদের একাংশ জানান, কোভিভ আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় ওষুধ,ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন, মাস্ক থেকে শুরু করে সবকিছুই আলাদা। স্বাভাবিকভাবেই আগাম প্রস্তুতি থাকলে চিকিৎসকদের সুবিধা হবে।
হাসপাতাল সুপারের দাবি
হাসপাতাল সুপার চিন্ময় বর্মন বলেন, এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এলেও আমরা প্রস্তুত। সমস্ত চিকিৎসক নার্সদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। যেহেতু আমাদের হাতে সময় রয়েছে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। তবে অযথা মানুষের আতঙ্কিত হবার প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে এই মুহূর্তে ৬ জন শিশু বিশেষজ্ঞ, ৬ জন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।
সিএমওএইচ এর দাবি
তৃতীয় ঢেউ এলে এদের সকলের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ইতিমধ্যেই কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। প্রক্রিয়া চলছে। আমরা গোটা জেলা জুড়েই আগাম প্রস্তুতি রাখছি। এদিকে, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশু এবং কিশোরদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন তৃতীয় ঢেউ আসবেই। তবে ঠিক কখন তা আছড়ে পড়বে তা আগাম বলা সম্ভব নয়। আগে থেকে সতর্ক হলে অনেকটাই বিপদ এড়ানো যায়।
শিশুদের সুরক্ষিত রাখার টিপস
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে কীভাবে নিজের সন্তানকে নিরাপদে রাখবেন, সে বিষয়েও শুক্রবার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশ। চিকিৎসকদের কথায়, বাচ্চাদের প্রোটিন-ক্যালোরি বাড়াতে হবে। বাড়ির খাবার সবচেয়ে ভাল। এই সময় প্রচুর জল খেতে হবে, অন্তত চার-পাঁচ লিটার অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে ৷ ডায়েরিয়া হলেও আর এস খাওয়াতে হবে। বাইরে থেকে এসে বাচ্চার কাছে না যাওয়া, স্নান করে পরিচ্ছন্ন হয়ে যেতে হবে৷ সম্ভব হলে মাস্ক পড়ে যান ৷ জন সমাগম থেকে দূরে থাকুক বাচ্চারা। বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা আপাতত বন্ধ রাখলেই ভাল। মনে রাখা দরকার যত বেশি বাইরে মেলামেশা বাড়বে, ততই সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়বে।